Advertisement
নিয়মিত ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট খাচ্ছেন! অজান্তেই নিজের বিপদ ডেকে আনছেন না তো?
অতিরিক্ত ভিটামিন ডি শরীরের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক।
অনেকেই নিজে থেকে ডাক্তারি ফলান। শরীর সুস্থ রাখার জন্য মুঠো মুঠো ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট কিনে খান। ওষুধের দোকানে ডাক্তারি প্রেসক্রিপশন ছাড়াই জোগাড় করা যায় বিবিধ সাপ্লিমেন্ট। এগুলি সঠিক নিয়ম না মেনে অনেকেই দিনের পর দিন খেয়ে থাকেন। বিশেষ করে অতিমারীর পর সাপ্লিমেন্ট নেওয়ার অভ্যেস হুজুগে পরিণত হয়েছে।
অনেকেই রয়েছেন যাঁরা ডাক্তারি পরামর্শ ছাড়াই ইচ্ছেমতো ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট খেয়ে থাকেন। এই অভ্যাস কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। শরীরে ভিটামিনের অভাবে যেমন সমস্যা তৈরি হয়, ঠিক তেমনই অতিরিক্ত ভিটামিন নিলেও শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
শুধু হাড় মজবুত নয়, শরীরের সামগ্রিক সুস্থতার জন্য ভিটামিন ডি অত্যন্ত উপকারী। প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে কিছুক্ষণ যদি সূর্যালোকের নিচে থাকা যায়, তাহলে ভিটামিন ডি-র অভাব হয় না। তবে, শরীরে যদি এই ভিটামিনের ঘাটতি দেখা যায় সেক্ষেত্রে ভরসা ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট।
ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি হলে শরীরে যেমন কিছু সমস্যা তৈরি হয়, ঠিক তেমনই অতিরিক্ত ভিটামিন ডি শরীরের পক্ষে বিপজ্জনক। প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ভিটামিন ডি শরীরে গিয়ে থাকলে বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা তৈরি হয়।
শরীরে ভিটামিন ডি অতিরিক্ত হয়ে গেলে ক্যালশিয়ামের পরিমাণও বৃদ্ধি পায়। আমাদের শরীরে ক্যালশিয়ামের স্বাভাবিক মাত্রা ৮.৫-১০.২ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার। এর অতিরিক্ত হলেই তাকে 'হাইপারক্যালশেমিয়া' বলে। এক্ষেত্রে স্বাভাবিক মাত্রা ছাড়িয়ে গেলেই পেটব্যথা, বমি, অতিরিক্ত ক্লান্তি, দুর্বলতা প্রভৃতি লক্ষণ দেখা দেয়।
হাড়কে সুস্থ ও শক্তিশালী রাখতে ভিটামিন ডি অপরিহার্য। কিন্তু অতিরিক্ত ভিটামিন ডি-এর কারণে উলটোটাও ঘটতে পারে। অর্থাৎ, হাইপারক্যালশেমিয়ার কারণে হাড়ের ক্ষয় শুরু হয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে হাড়ের যন্ত্রণা ও পেশির টান দেখা দেয়।
অতিরিক্ত ভিটামিন ডি-র কারণে খিদে কমে যায়। খাবারের প্রতি অনীহা কিংবা খাবার দেখলেই গা-বমি ভাব দেখা দিতে পারে। সাধারণত খুব বেশি সাপ্লিমেন্ট খেলে এমনটা ঘটতে পারে। তাই নিজে থেকে ডাক্তারি করে দোকান থেকে মুঠো মুঠো ওষুধ কিনে খাবেন না। বরং ব্লাড টেস্টের মাধ্যমে কতটুকু ভিটামিনের দরকার রয়েছে, তা বুঝে নিয়েই চিকিৎসক ওষুধ প্রেসক্রাইব করবেন।
ভিটামিন ডি বেশি খেয়ে ফেললে ক্যালশিয়াম বৃদ্ধি পায়। এই ক্যালশিয়াম ফিল্টার হওয়ার জন্য কিডনিতে বাড়তি চাপ পড়ে। দীর্ঘদিন এটি চলতে থাকলে কিডনির টিস্যুতে ক্যালশিয়াম জমার সম্ভাবনা দেখা দেয়। এর ফলে পরবর্তীতে কিডনিতে পাথর দেখা দেয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় একে 'নেফ্রোক্যালসিনোসিস' বলে। এই রোগে কিডনির ফিলটার করার ক্ষমতা দিন দিন কমতে থাকে। পরিশেষে একসময় কিডনি কাজ করা বন্ধ করে দেয়।
Published By: Buddhadeb HalderPosted: 05:23 PM Oct 17, 2025Updated: 05:23 PM Oct 17, 2025
Sangbad Pratidin News App
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
