সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এক স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার নোদাখালী থানার অন্তর্গত মুচিশা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। বিষয়টি জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকরা। স্কুলে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান সকলে। পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। শেষে ক্ষুব্ধ জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে সেখানে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশবাহিনী ও র্যাফ।
জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার মহাদেব বেরা নামে জনৈক শিক্ষকের বিরুদ্ধে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে। স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে বাবা-মাকে সমস্ত ঘটনা খুলে বলে পড়ুয়াটি। পরে বিষয়টি ওই বিদ্যালয়ের অন্যান্য অভিভাবকরাও জানতে পারেন। তার পরই আজ সকাল থেকে স্কুলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। অভিযুক্তকে স্কুল থেকে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় অভিভাবকরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। ওই শিক্ষককে মারধর করার চেষ্টা করেন। বিক্ষোভ চরম পর্যায় পৌঁছালে উত্তেজিত জনতাকে সরাতে পুলিশ ব্যবস্থা নেয়।
[আরও পড়ুন: এতদিন সাপের কামড় থেকে বাঁচিয়েছেন অনেককে, সেই সর্পাঘাতই কাড়ল ‘ত্রাতা’র প্রাণ!]
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার-সহ একাধিক উচ্চ পদস্থ আধিকারিক। মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী ও র্যাফ। পরে পুলিশি তৎপরতায় অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। ইতিমধ্যেই তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এই ঘটনা নিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিতুন কুমার দে জানিয়েছেন, আইনানুগ সমস্ত প্রকার ব্যবস্থাই নেওয়া হবে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
[আরও পড়ুন: বিকট শব্দে চিমনি বিস্ফোরণ, মৃত্যু মহিলার]
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান অজিত নায়েক জানান, নিগৃহীতা ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে বজবজ সাউথ সার্কেলের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত করে যে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন তার ভিত্তিতে অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে এদিন থেকেই অনির্দিষ্টকালের জন্য স্কুল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জোনাল) মিতুন কুমার দে জানিয়েছেন, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।