রাহুল রায়: শুধু বাংলার নেতাদের নয়। খতিয়ে দেখতে হবে সর্বভারতীয় স্তরের নেতানেত্রীদের সম্পত্তির পরিমাণও। এই দাবিতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাই কোর্টে। রাজনাথ সিং (Rajnath Singh), জেপি নাড্ডা (JP Nadda), স্মৃতি ইরানি, ধর্মেন্দ্র প্রধান প্রমুখ দিল্লির নেতাদের নাম রয়েছে ওই জনস্বার্থ মামলায়। মোট ২৪ জন তৃণমূল বিরোধী নেতানেত্রীর বিরুদ্ধে মামলাটি হয়েছে। মামলায় জুড়েছে সুজন চক্রবর্তী ও রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম।
বৃহস্পতিবার মামলা দায়ের করেন জনৈক আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার। আগামী সপ্তাহে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে। নতুন মামলায় কেন্দ্রীয় স্তরের নেতা-নেত্রীদের পাশাপাশি নাম রয়েছে শুভেন্দু অধিকারী, দিব্যেন্দু অধিকারী, লকেট চট্টোপাধ্যায়, দিলীপ ঘোষ, সৌমিত্র খাঁ, মনোজ কুমার ওরাওঁ, আবদুল মান্নান (Abdul Mannan), মিহির গোস্বামী, অগ্নিমিত্রা পল, শমীক ভট্টাচার্য, অনুপম হাজরা, মহম্মদ সেলিম (Mohammad Selim), জিতেন্দ্র তেওয়ারি, তন্ময় ভট্টাচার্য, শীলভদ্র দত্ত, রাহুল সিনহা, সুভাষ সরকার, সুজন চক্রবর্তীর মতো রাজ্য স্তরের নামও।
[আরও পড়ুন: মানবিক ভারতীয় সেনা, রক্ত দিয়ে ফিদায়েঁ পাক জঙ্গির প্রাণ বাঁচালেন জওয়ানরা]
এরাজ্যের রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের অস্বাভাবিক সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে হাই কোর্টে বেশ কিছুদিন ধরেই তরজা চলছিল। এ নিয়ে একাধিক মামলাও বিচারাধীন রয়েছে হাই কোর্টে। গত ৮ আগস্ট রাজ্যের শাসক শিবিরের বর্তমান ও প্রাক্তন মন্ত্রী এবং বিধায়ক মিলিয়ে ১৯ জনের সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলায় আর্থিক বেনিয়ম সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)-কে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্যের বিরোধী শিবিরের ৩০ জন নেতার সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলাতেও ইডি-কে পক্ষভুক্ত করাতে বলা হয়।
[আরও পড়ুন: কুর্সি সংকটে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, খনি দুর্নীতিতে হারাতে পারেন বিধায়ক পদ]
এ বার সেই সম্পত্তি বৃদ্ধির তালিকায় হাই কোর্টের (Calcutta High Court) দৃষ্টি আকর্ষণ করতে কেন্দ্রীয় স্তরের বিজেপি নেতানেত্রীদের নামও জুড়ে দেওয়া হল। আদালতের কাছে এঁদের সম্পত্তি খতিয়ে দেখার আরজি জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে আবেদন জানানো হয়েছে, হিসাব না মিললে যেন উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হয়।