সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের তিন জাতীয় নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের কমিটিতে পুনর্বহাল করা হোক প্রধান বিচারপতিকে। এই দাবিতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। যা সরাসরি কেন্দ্রের আনা আইনকে চ্যালেঞ্জ করেছে।
গত মার্চ মাসে এক ঐতিহাসিক রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগের ক্ষমতা একচ্ছত্রভাবে মন্ত্রিসভার হাতে থাকবে না। এদের নিয়োগ করবে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা এবং প্রধান বিচারপতির যৌথ কমিটি। এই কমিটির সুপারিশ মেনেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ করবেন। যদি কখনও লোকসভায় বিরোধী দলনেতা পদে কেউ না থাকেন, তাহলে বৃহত্তম বিরোধী দলের নেতাকেই এই কমিটিতে নেওয়া হবে। যার ফলে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের অধিকার ন্যস্ত হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury) এবং প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের (DY Chandrachud) কমিটির উপর।
[আরও পড়ুন: বগটুইয়ের ভাদু শেখ খুনে অভিযুক্ত ছোট লালনের মৃত্যু]
কিন্তু গত শীতকালীন অধিবেশনে পালটা আইন এনে সুপ্রিম কোর্টের সেই রায় কার্যত অকেজো করে দেয় কেন্দ্র। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (সংশোধনী) বিল অনুযায়ী, এবার থেকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতির কোনও ভূমিকা থাকবে না। মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগ করবেন প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা এবং প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশ করা মন্ত্রিসভার এক সদস্য। অর্থাৎ ৩ সদস্যের কমিটির দুই সদস্যই হবেন সরকারি প্রতিনিধি। সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনার পদে কারণ নাম নিয়ে বিরোধী দলনেতার আপত্তি থাকলেও সংখ্যাধিক্যের বলে সরকার তাঁকে উপেক্ষা করতে পারবে। শীতকালীন অধিবেশনে এই বিল দুই কক্ষেই পাশ হয়ে গিয়েছে। রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরে সেটি আইনেও পরিণত হয়েছে।
[আরও পড়ুন: পাঞ্জাব-মহারাষ্ট্রে পেট্রল পাম্পে লম্বা লাইন, জ্বালানি সংগ্রহে মরিয়া মানুষ, কেন?]
সেই আইনের বিরুদ্ধেই এবার জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল শীর্ষ আদালতে। মামলাকারীদের বক্তব্য, নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের (Election Commission) ক্ষেত্রে স্বছতার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ হেন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে সাংবিধানিক নিরপেক্ষতা ভীষণ প্রয়োজনীয়। সেই কারণেই কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতিকে ওই কমিটিতে রাখা জরুরি।