shono
Advertisement

সুস্থ থাকতে পরিষ্কার রাখুন বাড়ির এই জায়গাগুলি

আপনার বাড়ির জন্যই আপনি হতে পারেন অ্যালার্জির শিকার। The post সুস্থ থাকতে পরিষ্কার রাখুন বাড়ির এই জায়গাগুলি appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 05:40 PM Jul 14, 2016Updated: 04:02 PM Feb 28, 2019

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাড়িটাকে সাফসুতরো রাখার জন্য আপনি কোনও কিছুরই খামতি রাখেন না। নিজে তো যতটা পারেন, চেষ্টা করেনই! পাশাপাশি, ঠিকে কাজের লোকের সঙ্গেও এই নিয়ে ঝগড়া আপনার লেগেই থাকে!
তার পরেও কিন্তু বাড়ির আনাচ-কানাচ আপনাকে অসুস্থ করে তুলতেই পারে। একটু স্পষ্ট করে বললে, আপনার বাড়ির জন্যই আপনি হতে পারেন অ্যালার্জির শিকার।
খেয়াল করে দেখুন তো, আপনি বা বাড়ির কোনও সদস্য কি হামেশাই সর্দিতে ভোগেন? বারো মাস সর্দি লেগেই থাকে? কাশি হয়? একবার শুরু হলে হাঁচি আর থামতেই চায় না? অল্প পরিশ্রমেই এসে যায় হাঁফানি? বা, মাঝে মাঝেই গায়ে হালকা জ্বর থাকে?
যদি একটারও উত্তর হ্যাঁ হয়, তবে কিন্তু চিন্তার কারণ আছে। আপনার অজান্তেই বাড়ি আপনাকে অ্যালার্জেটিক করে তুলেছে।
আসলে, রোজ বাড়ি সাফ করার সময় আমরা সাধারণত মেঝেটাই পরিষ্কার করি। মাঝে মাঝে পরিষ্কার করি দেওয়ালে জমে থাকা ঝুল বা জানলার শিকে জমে থাকা ধুলো! তার বাইরেও বাড়িতে আরও অনেক অংশ থেকে যায়, যেখানে ধুলো জমে থাকে।
কী ভাবে, জেনে নেওয়া যাক এক এক করে।

Advertisement

• সবুজে ঘেরা ঘর:


আপনার বাড়ির চারপাশে যদি অনেক গাছ থাকে, তবে আপনার অ্যালার্জেটিক হওয়ার একটা সম্ভাবনা থেকে যায়। আসলে, ওই গাছগুলো থেকে সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম পরাগরেণু উড়ে আসে ঘরের মধ্যে। যা নিশ্বাসের সঙ্গে শরীরের ভিতরে গিয়ে আপনাকে অ্যালার্জেটিক করে তোলে।
প্রতিকার: দরজা-জানলা বন্ধ করে রাখা তো আর সম্ভব নয়! অতএব, খড়খড়ি বা পর্দা ব্যবহার করুন। একটু ভারি কাপড়ের যাতে তা হাওয়ায় চট করে উঠে না যায়। তা হলে ওই পর্দা ঘরের মধ্যে পরাগরেণু ঢুকে পড়ার সম্ভাবনা কিছুটা হলেও কমাবে।

• সাফ পোশাক, সাফ জীবন:


আপনার অ্যালার্জেটিক হওয়ার পিছনে কিছুটা ভূমিকা রয়েছে আপনার পোশাকেরও! যখন বাইরে থেকে বাড়িতে ঢুকছেন, তখন আপনার পোশাক বয়ে নিয়ে আসছে অসংখ্য জীবাণু। এবার, আপনি হয়তো জামাটা ব়্যাকে ঝুলিয়ে রাখলেন। সঙ্গে সঙ্গে ওই জীবাণুরা মিশে গেল ঘরের হাওয়ায়! নিশ্বাসের সঙ্গে ঢুকল আপনার শরীরে। এবং আপনাকে করে তুলল অ্যালার্জির শিকার।
প্রতিকার: একটু নিয়মিত ভাবে জামা-কাপড়গুলো কাচলেই তো হয়! পাশাপাশি সারা বাড়ির এখানে-ওখানে নয়, একটিই জায়গা নির্দিষ্ট করে রাখুন যেখানে ছাড়া জামা-কাপড়গুলো রাখবেন। তাতে জীবাণু সংক্রমণের সুযোগও কম থাকবে।

• বিছানা ঝাড়ুন নিয়ম করে:


জামা-কাপড় থেকে যেমন বাইরের জীবাণু ঘরে ঢুকে বাড়িটাকে অ্যালার্জি বাধার উপযুক্ত ক্ষেত্রে পরিণত করে ফেলে, তেমনই বিছানার চাদর-পর্দা-পাপোশেও জমে থাকে অনেক ধুলো। ফলে, আপনি যখন আরাম করে বিছানায় গা এলিয়ে দিচ্ছেন বা পর্দা তুলে তাকাচ্ছেন জানলার বাইরে বা পাপোশে পা মুছছেন, তখনই অনেক ধূলিকণা নিশ্বাসের সঙ্গে শরীরের ভিতরে চলে যাচ্ছে।
প্রতিকার: প্রত্যেক দিন নিয়ম করে বিছানা ঝাড়ুন। পাপোশ ঝাড়ুন। সপ্তাহে একবার অবশ্যই পর্দা, মশারি, বিছানা আর বালিশের চাদর কেচে নিন।

• সফ্ট খেলনায় হার্ড অসুখ:


সফ্ট টয়তেও কিন্তু চট করে ধুলো জমে যায়! এবং আপনার অজান্তে তা আপনাকে অ্যালার্জেটিক করে তোলে।
প্রতিকার: নিয়ম করে সপ্তাহে অন্তত একবার সফ্ট টয় কাচুন! তাতে খেলনাটায় কম ধুলো জমবে। আপনিও থাকবে তুলনামূলক ভাবে সুরক্ষিত!

• ফ্যানে শুধুই হাওয়া নেই:


একেবারেই তাই! ফ্যান যেমন হাওয়া দেয়, তেমনই তার ব্লেডে জমিয়ে রাখে প্রচুর ধুলো। এসি’র ক্ষেত্রেও সেটাই হয়। এসি মেশিনের খোপে ধুলো জমে থাকে। ফলে, ফ্যান বা এসি চললে ঘর যেমন ঠান্ডা হয়, তেমনই ওই ধুলো নিশ্বাসের সঙ্গে মিশে আপনি হয়ে পড়েন অ্যালার্জেটিক!
প্রতিকার: সপ্তাহে নিয়ম করে একদিন ফ্যানের ব্লেডগুলো পরিষ্কার করুন। মাসে একবার করে সার্ভিসিং করান এসিটাকেও!

আর কী! সুস্থ থাকুন!

The post সুস্থ থাকতে পরিষ্কার রাখুন বাড়ির এই জায়গাগুলি appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement