সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজনীতিকে অপরাধমুক্ত করতে গত বছরের অগস্টেও নতুন করে কড়া রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সেখানে বলা হয়েছিল, রাজনৈতিক দলগুলিকে প্রার্থীদের অপরাধ যোগের নথি জমা দিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে (Election Commission of India)। সেই নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগে এবার একটি মামলা হল সুপ্রিম কোর্টে। মামলাকারীর দাবি, রাজনৈতিক দলগুলি প্রার্থীদের অপরাধ যোগের কথা লুকাচ্ছে।যারা এই কাজ করছে সেই সব দলের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করতে হবে। ইতিমধ্যে মামলাটি শুনতে রাজি হয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
মামলাটি উঠেছে প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানার (NV Ramana) নেতৃত্বের বেঞ্চে। মামলাকারী আইনজীবী অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায় (Ashwini Kumar Upadhyay) বিষয়টিতে নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।অশ্বিনী উপাধ্যায় উল্লেখ করেন, সামনেই পাঁচ রাজ্যে ভোট রয়েছে। প্রধান বিচারপতি বলেন, “যাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে আমরা কি তাদের মনোনয়ন দাখিলে বাধা দিতে পারি?” এরপরই আদালত জানায়, “আমাদের জানিয়েছেন, আমরা মামলাটি শুনব।” উপধ্যায় মামলাটির জরুরি শুনানির আবেদন জানিয়েছেন। তবে এখনও পর্যন্ত শুনানির দিনক্ষণ ঠিক হয়নি বলেই জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশে দ্বিমুখী লড়াই চায় বিজেপি, শীঘ্রই মাঠে নামছেন শাহ]
বর্তমান মামলাটির আবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিতে হবে যাতে করে সব দল তাদের ওয়েবসাইটে প্রার্থীদের অপরাধ যোগের কথা জানায়। এবং সেখানে উল্লেখ থাকতে হবে, কেন তারা এরপরেও তাদেরকে প্রার্থী করেছে । আরও দাবি করা হয়েছে, প্রত্যেক প্রার্থীকে তাঁদের বিরুদ্ধে চলা মামলার কথা ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানাতে হবে। এইসঙ্গে দাবি করা হয়েছে, যে সব রাজনৈতিক দল প্রার্থীদের অপরাধের তথ্য গোপন করেছে সেই দলগুলির প্রেসিডেন্টদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা রুজু করতে হবে।
[আরও পড়ুন: ধর্মীয় আবেগকে মান্যতা, পিছিয়ে গেল পাঞ্জাবের ভোট]
এর আগে ২০২০ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি এক রায়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, প্রার্থী নির্বাচিত করার ৪৮ ঘণ্টা থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলিকে প্রার্থী সম্পর্কে বিশদ তথ্য সংবাদপত্রে প্রকাশ করতে হবে। অপরাধ-যোগ থাকা সত্ত্বেও কেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে প্রার্থী হিসেবে বাছা হল, তা জানিয়ে রাজনৈতিক দলগুলিকে নিজেদের ওয়েবসাইটে তথ্য প্রকাশ করতে হবে। তবে সেই নির্দেশ মানা হচ্ছিল না বলে রাজনৈতিক দলগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল ফের।