সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানে (Pakistan) তুঙ্গে রাজনৈতিক ডামাডোল। ফের সেনাশাসনের দিকেই এগিয়ে চলেছে ইসলামিক দেশটি। এহেন পরিস্থিতিতে পাক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন ঘিরে দেশজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ওই খবরে দাবি করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের (Imran Khan) জীবন বিপন্ন। তাঁকে হত্যার চেষ্টা করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: মূলচক্রী আজমল কাসভ পাকিস্তানেরই বাসিন্দা, অবশেষে মানল ইসলামাবাদ]
পাক সংবাদমাধ্যম ‘জিও নিউজ’ সূত্রে খবর, পাকিস্তানের শাসকদল তেহরিক-ই-ইনসাফের বর্ষীয়ান নেতা ফয়জল ভাওদার দাবি করেছেন, ইমরান খানকে পরিকল্পনা মাফিক খুন করার চেষ্টা চলছে। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো চঞ্চল্য ছড়িয়েছে ইসলামাবাদের নীতিনির্ধারকদের মধ্যে। অনেকেই মনে করছেন পাকিস্তানে ফের সেনাবাহিনীর শাসন শুরু হতে চলেছে। পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর ছিল, আজই জরুরি অবস্থা জারি করার কথা ঘোষণা করতে পারেন পাক প্রধানমন্ত্রী। কারণ কোনওভাবেই নিজের কুর্সি ছাড়তে রাজি নন তিনি। ফলে এই চরম পদক্ষেপ ছাড়া তাঁর হাতে আর অন্য উপায় নেই।
পাকিস্তান সংসদে ইতিমধ্যেই সংখ্যালঘু হয়ে গিয়েছে ইমরান সরকার। অন্যতম জোটসঙ্গী এমকিউএম-পি বা মুত্তাহিদা কউমি মুভমেন্ট (MQM-P) পাকিস্তানের পর বুধবার ইমরান সরকারের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নিয়েছে বালোচিস্তান আওয়াম পার্টিও। কিন্তু তাতেও ইস্তফা দিতে নারাজ ইমরান খান। উলটে তিনি যেন তেন প্রকারে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টায় আছেন। পাক সংবাদমাধ্যমে গুঞ্জন, ঘুরপথে ক্ষমতায় টিকে থাকতে জরুরি অবস্থাও জারি করতে পারেন পাক প্রধানমন্ত্রী। বুধবার বিকালেই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল ইমরান খানের। মনে করা হচ্ছিল ওই ভাষণেই ইস্তফার কথা ঘোষণা করতে পারেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওই ভাষণ বাতিল করেছেন ইমরান।
উল্লেখ্য, বুধবার পাক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া। আইএসআইয়ের (ISI) ডিজি নাদিম অঞ্জুমও ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। জল্পনা ছিল, সেনাপ্রধান এবং আইএসআই প্রধানের সঙ্গে আলোচনার পর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে ইস্তফার কথা ঘোষণা করবেন পাক প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু সেটা তিনি করলেন না।