সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংসদে হামলার ঘটনায় উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বৃহস্পতিবার অধিবেশন শুরুর আগেই শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে বসেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ছাড়াও আরও তিন হেভিওয়েট নেতা হাজির ছিলেন এই বৈঠকে। জানা গিয়েছে, সংসদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতেই এই বৈঠক ডেকেছিলেন মোদি। হাজির ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী ও অনুরাগ ঠাকুর। সংসদে (Parliament) হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৮ জন নিরাপত্তা আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সংসদ ভবনে ঢোকার পথেই দায়িত্বে ছিলেন ওই ৮ জন।
বুধবার সংসদে হইচই ফেলে দেয় দুই হানাদার। অধিবেশন চলাকালীন স্মোক বম্ব নিয়ে প্রতিবাদ শুরু করে তারা। ইতিমধ্যেই ৬ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ইউএপিএর আওতায় মামলা দায়ের করে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে প্রাথমিক তদন্তে। জানা গিয়েছে, বাদল অধিবেশন চলাকালীনই সংসদে ঢুকে যাবতীয় খোঁজখবর নিয়েছিল অভিযুক্তরা। কীভাবে ভবনে ঢুকে হামলা চালানো হবে, তা স্থির করতে নতুন সংসদ ভবনের রেপ্লিকাও বানিয়েছিল তারা। ৬ জনই সংসদে ঢুকতে চেয়েছিল বলে সূত্রের খবর।
[আরও পড়ুন: বাড়ি থেকে পালিয়ে নমাজ পড়তে যাওয়া! ভিনরাজ্য থেকে ৯ নাবালককে উদ্ধার করল RPF]
তবে প্রাথমিক তদন্তে দাবি, সংসদে তাণ্ডব চালানোর উদ্দেশ্য ছিল না ছয় হামলাকারীর। মূলত কেন্দ্রের কাছে বেকারত্বের সমস্যার কথা তুলে ধরতেই তারা সংসদে হাজির হয়। ১৩ নয়, ১৪ ডিসেম্বর হানা দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের। কিন্তু ১৩ তারিখেই সংসদে ঢোকার পাস মেলে তাদের। রেডিও ট্যাক্সি চেপে সংসদের দিকে যায় ৬ আততায়ী। ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের পাঁচজনকে।
তবে সংসদের নিরাপত্তা বেষ্টনী পেরিয়ে কী করে স্মোক বম্ব নিয়ে ঢুকে পড়লেন দুই ব্যক্তি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কর্তব্যে গাফিলতির দায়ে ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করা হয়েছে ৮ নিরাপত্তা আধিকারিককে। সংসদের মূল প্রবেশপথ ও দরজার কাছেই তাঁদের ডিউটি ছিল। বুধবারের এই ঘটনার পরে বৃহস্পতিবার উত্তাল হয় সংসদ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জবাব দাবি করেন বিরোধীরা। হট্টগোলের জেরে মুলতুবি হয়ে যায় সংসদের দুই কক্ষের অধিবেশন।