সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটপ্রচারের ব্যস্ততা শেষ। ৭৩ বছরের মোদি ৭৫ দিন ধরে দেশজুড়ে ২০৬টি নির্বাচনী সভা করেছেন। কিন্তু এবার ধ্যানে বসলেন প্রধানমন্ত্রী। কন্যাকুমারীর বিবেকানন্দ রকে আগামী দুদিন কাটবে তাঁর। যে স্থান তিনি বেছে নিয়েছেন তা ছুঁয়ে রয়েছে এক অনন্য ইতিহাসকে। ১৩১ বছর আগে এখানেই ধ্যান করেছিলেন আর এক নরেন, তিনি নরেন্দ্রনাথ দত্ত। গোটা বিশ্ব যাঁকে চেনে স্বামী বিবেকানন্দ নামে। এখান থেকেই তিনি পাড়ি দিয়েছিলেন শিকাগো। তাঁর সেই অবিস্মরণীয় বক্তৃতা দিতে।
প্রায় ৪৫ ঘণ্টা সেই ঐতিহাসিক স্থানেই ধ্যান করবেন মোদি। যে জায়গাকে বিশ্ব চেনে ধ্যান মণ্ডপম নামে। এদিন হেলিকপ্টারে তিরুঅনন্তপুরমে পৌঁছন মোদি। ভগবতী আম্মান মন্দিরে পুজো সেরে এর পরই তিনি চলে যান রক মেমোরিয়ালে। একটি লঞ্চে সেখানে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এর পরই তাঁর ধ্যানে বসার কথা। যদিও এখনও পর্যন্ত ধ্যানস্থ মোদির ছবি প্রকাশ্যে আসেনি। তাঁর পরনে সাদা লুঙ্গি ও শাল। সেই পোশাকে এর আগে মন্দিরে বিশেষ আরতি করতে দেখা যায় মোদিকে। তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয় প্রসাদ। যার মধ্যে রয়েছে একটি শাল ও মন্দিরের আরাধ্য দেবতার একটি ছবি।
মোদির (PM Modi) পোশাকটিও তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। সাদা লুঙ্গি-চাদরের আড়ালে কি রয়েছে দক্ষিণের প্রতি তাঁর 'ভালোবাসা' প্রদর্শনের 'কৌশল'? এমন কথা উঠছে। তবে এই মুহূর্তে মোদি চলে গিয়েছেন ভোট-রাজনীতি থেকে দূরে প্রকৃতির কোলে। আপাতত দিন দুয়েক সেখানে কাটিয়ে তিনি যখন ফিরবেন ততক্ষণে এবারের মতো ভোটপর্ব শেষ। সামনে আসতে থাকবে একজিট পোলের হিসেবনিকেশ তথা 'ভবিষ্যদ্বাণী'। তার পর মঙ্গলবার ভোটগণনা। পুরোদস্তুর সেই রাজনৈতিক আবহে ঢুকে পড়ার আগে মোদি ধ্যানস্থ হলেন। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ নাগাদ তিনি ধ্যান শুরু করেছেন। আগামী ৪৫ ঘণ্টা তিনি তরল খাবার (ডাবের জল, আঙুরের রস ইত্যাদি) খাবেন। কারও সঙ্গে কথা বলবেন না। মেনে চলবেন মৌনব্রত।
[আরও পড়ুন: পুঞ্চ হাইওয়ে থেকে খাদে পড়ল যাত্রীবাহী বাস, কাশ্মীরের ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত কমপক্ষে ১৫]
এদিকে মোদির আগমন উপলক্ষে সেজে উঠছে গোটা কন্যাকুমারী (Kanyakumari)। বিবেকানন্দ রকে নিরাপত্তার জন্য বেনজির ব্যবস্থা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে ওই এলাকায় পর্যটকদের প্রবেশ নিষেধ। নিরাপত্তার জন্য প্রায় ৩ হাজার পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় এজেন্সি ইতিমধ্যেই ওই এলাকা পর্যবেক্ষণ করে এসেছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকরাও ওই দ্বীপ এলাকায় মোতায়েন থাকবেন। প্রস্তুত থাকছে নৌসেনাও।