সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারত বিশ্বের উন্নত দেশে পরিণত হবে। এমনই অঙ্গীকার নিয়েছে সকল ভারতীয়। গতকাল ব্রিকসের বিজনেস ফোরাম থেকে ভারতের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।
ভারত, চিন, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা ও রাশিয়াকে নিয়ে প্রায় দেড় দশক আগে তৈরি হয়েছিল ব্রিকস গোষ্ঠী। মঙ্গলবার থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায় শুরু হয়েছে সেই জোটের পঞ্চদশ শীর্ষ সম্মেলন। চলবে ৩ দিন। ২২ থেকে ২৪ আগস্ট । প্রথমে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই সম্মেলনে যোগ দেওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছিল অনিশ্চয়তা। তবে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে গতকাল জোহানেসবার্গে পৌঁছে যান মোদি। যোগ দিয়েছিলেন ব্রিকস বিজনেস ফোরামের শীর্ষ সংলাপে।
ব্রিকসের বাণিজ্য মঞ্চ থেকে মোদি অভিনন্দন জানান ব্রিকস বিজনেস কাউন্সিলকে। তিনি বলেন, “ব্রিকস বিজনেস কাউন্সিলকে দশ বছর পূর্ণ করার জন্য অভিনন্দন। সদস্য দেশগুলির মধ্যে আর্থিক সহযোগিতা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। যখন প্রথম ব্রিকস সম্মেলন হয়েছিল তখন গোটা বিশ্ব ব্যাপক আর্থিক মন্দার মুখে পড়েছিল। সে সময় বিশ্ব অর্থনীতিতে আশার আলো দেখিয়েছিল ব্রিকস গোষ্ঠী। এরপর করোনা অতিমারীর সময়েও যখন বিশ্ব অর্থনীতির টালমাটাল অবস্থা ছিল তখনও বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখে ভাল কাজ করেছে এই গোষ্ঠী। “
[আরও পড়ুন: ব্রিকস মঞ্চে পায়ের নিচে তেরঙ্গা! মোদির কীর্তিতে অভিভূত বিশ্ব]
এরপরই তিনি তুলে ধরেন ভারতের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথা। আশাবাদী কণ্ঠে তিনি বলেন,” বিশ্ব অর্থনীতিতে চাপানউতোর চলা সত্ত্বেও ভারত দ্রুত উন্নয়নের পথে দ্রুত এগিয়ে চলেছে। সকল ভারতীয় একজোট হয়ে ২০৪৭-এর মধ্যে ভারতকে বিশ্বের আঙ্গিনায় উন্নত দেশে পরিণত করবে। আজ ইউপিআইয়ের একটি ক্লিকেই সরকারের সমস্ত প্রকল্প দেশের সকল নাগরিকের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে।”
আজ বুধবার সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে ব্রিকস গোষ্ঠীর সম্প্রসারণ নিয়ে ভারতের সমর্থনের কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, “সদস্য দেশগুলির সম্মতি নিয়ে ব্রিকসের সম্প্রসারণকে স্বাগত জানাচ্ছে ভারত। গ্লোবাল সাউথের দেশগুলিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। জি-২০ সম্মেলনেও গ্লোবাল সাউথকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। আফ্রিকান ইউনিয়নকে জি-২০ সদস্য করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। আশা করি ব্রিকসের সদস্যরাও এই বিষয়টি সমর্থন করবে।”
[আরও পড়ুন: ‘থাকবে না ডলারের দাপট’, BRICS সম্মেলনে আমেরিকাকে চ্যালেঞ্জ পুতিনের]