প্রধানমন্ত্রীর দু’দিনের বাংলা সফর শেষ। শনিবার মোদি বেলুড় মঠে রাত্রিযাপন করেছেন, যা রামকৃষ্ণ মিশনের প্রধান কার্যালয়ের ইতিহাসে প্রথম। আজ সকাল থেকেই ছিল ঠাসা কর্মসূচি। স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন, জাতীয় যুব দিবসে বেলুড় মঠের প্রেক্ষাগৃহে বক্তব্য রাখেন তিনি। এখানে CAA ইস্যু উত্থাপন করেন। নেতাজি ইন্ডোরে পোর্ট ট্রাস্টের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বন্দরের নতুন নাম ঘোষণা মোদির। শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির নামে এবার পরিচিত হবে কলকাতা বন্দর। এরপর রেসকোর্স থেকে চপারে বিমানবন্দরে উড়ে যান।
দুপুর ১২.৩৮: পোর্ট ট্রাস্টের নাম বদলে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি নামে হবে, মোদির এই ঘোষণার খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিক্ষোভের আঁচ চড়ল আরও। নতুন নাম মেনে নেবেন না বলে ইন্ডোরের বাইরের বিক্ষোভকারীদের দাবি।
দুপুর ১২.২৮: বক্তব্য শেষ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ফিরে যাবেন দিল্লি। রেসকোর্সে চপার ওড়ার প্রস্তুতি।
দুপুর ১২.২৫: কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলি বাস্তবায়নে রাজ্য বাধা দিচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে নেতাজি ইন্ডোরের মঞ্চ থেকে অভিযোগ তুললেন মোদি।
[আরও পড়ুন: আঁতাতের অভিযোগে ধরনা মঞ্চ ঘিরে বিক্ষোভ বাম পড়ুয়াদের, শান্ত করলেন মমতা]
দুপুর ১২.২০: ‘বাংলার উন্নয়নে উদারহস্ত কেন্দ্র। উজ্জ্বালা যোজনা, আয়ুষ্মান ভারতের গ্রাহক বহু।’ প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণায় ইন্ডোরের অডিটোরিয়াম থেকে উঠল ‘মোদি মোদি’ স্লোগান। বাইরে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিক্ষোভের মাত্রা।
দুপুর ১২.১৩: আগামী বছরের মধ্যে গঙ্গায় বড় জাহাজ চলাচল করবে কলকাতা বন্দর থেকে, ঘোষণা মোদির।
দুপুর ১২: দেড়শোর বছর পর কলকাতা বন্দরে নামবদল। নতুন নাম রাখা হল ডক্টর শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির নামে। ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী। বললেন, ‘ বাংলার উন্নয়ন এবং জলসম্পদ বিকাশে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির অবদান অবিস্মরণীয়।’
সকাল ১১.৫০: বক্তব্য রাখতে ওঠেন নরেন্দ্র মোদি। বন্দরেরর গুরুত্ব বুঝিয়ে অনুষ্ঠানে তাঁকে আমন্ত্রণের জন্য ধন্যবাদজ্ঞাপন বন্দর কর্তৃপক্ষকে।
সকাল ১১.২০: নেতাজি ইন্ডোরে পৌঁছে পোর্ট ট্রাস্টের অনুষ্ঠানে যোগদান মোদির। অনুপস্থিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাজির রাজ্যপাল। নেতাজি ইন্ডোরের বাইরে CAA বিরোধী বিক্ষোভ, মঞ্চ। নেতৃত্বে মহম্মদ সেলিম। কালো পতাকা প্রদর্শন, গো ব্যাক স্লোগান।
সকাল ১০.৫৪: মোদির CAA সংক্রান্ত বক্তব্য নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া কংগ্রেসের। সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরির মন্তব্য, ‘বেলুড় মঠকে রাজনীতির আখড়া বানাবেন না।’
সকাল ১০.২৯: বেলুড় মঠ থেকে বেরিয়ে জলপথে মিলেনিয়াম পার্ক যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি।
সকাল ১০.২০: বেলুড় মঠে স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিবসে বক্তব্য রাখতে গিয়ে CAA ইস্যুর উত্থাপনের নিন্দায় তৃণমূল নেতৃত্ব। ‘এটি অত্যন্ত কুরুচিকর, বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়’, মন্তব্য তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।
সকাল ৯.৫৮: বক্তব্য সমাপ্ত মোদির। প্রণাম করে বেরিয়ে গেলেন প্রেক্ষাগৃহ ছেড়ে। এরপর তিনি যাবেন নেতাজি ইন্ডোরে, পোর্ট ট্রাস্টের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে।
সকাল ৯.৪১: CAA প্রসঙ্গ উত্থাপন মোদির। ছাত্রছাত্রীদের আইনটি বুঝিয়ে বললেন, ‘আবারও বলছি, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার নয়, নাগরিকত্ব প্রদানের জন্য।’ এ প্রসঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের সমর্থনও চাইলেন তিনি। আইনটি নিয়ে বিরোধিতা যাঁরা করেছেন, পরোক্ষে তাঁদেরও বিঁধলেন।
সকাল ৯.৩৪: স্বামীজির জীবন থেকে আধ্যাত্মিকতা-আদর্শ ছাত্রছাত্রীদের সামনে ব্যাখ্যা করছেন মোদি।
সকাল ৯.২৫: মঞ্চে বক্তব্য শুরু করলেন নরেন্দ্র মোদি। রামকৃষ্ণ মিশনের সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে, ছাত্রছাত্রীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু বক্তব্য। প্রোটোকল মানতে সরকারের ভূমিকার প্রশংসা। ‘এখানে এলে প্রতিবারই চোখ খুলে যায়’, প্রয়াত গুরু স্বামী আত্মস্থানন্দজির প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে বললেন মোদি।
সকাল ৯.১৪: জাতীয় যুব দিবসে স্বাগত ভাষণ শুরু রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের মহাসচিব স্বামী সুবীরানন্দের। এমন দিনে বেলুড়ে উপস্থিত থাকার জন্য নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদজ্ঞাপন। দেশের প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা।
সকাল ৯.১০: সমবেত প্রণাম মন্ত্র উচ্চারণে শামিল মোদি। করজোড়ে করলেন প্রার্থনা। ‘ওম শান্তি ওম’ মন্ত্রে প্রার্থনা সমাপ্ত।
সকাল ৯.০৪: মঞ্চে উঠলেন নরেন্দ্র মোদি। পরনে মিশনের নিয়ম মেনে সাদা বস্ত্র। মঞ্চে থাকবেন রামকৃষ্ণ মিশনের অন্যতম শীর্ষ পদাধিকারী স্বামী স্মরণানন্দ। এখান থেকেই জাতীয় যুব দিবসে ছাত্র সমাজকে বার্তা দেবেন তিনি।
সকাল ৮.৪৯: ভিড় বাড়ছে বেলুড় মঠে। প্রেক্ষাগৃহের আসন পূর্ণ হচ্ছে পড়ুয়াদের আগমনে। মাটিতে কার্পেট পেতে সকলের বসার ব্যবস্থা।
সকাল ৮.৪৪: আমন্ত্রিত হিসেবে বেলুড়ে আসতে শুরু করেছেন ছাত্রছাত্রীরা। এখানকার মিশন স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাই শুধুমাত্র আমন্ত্রিত। পূর্বঘোষিত নয়, চটজলদিই নেওয়া হয়েছে এই কর্মসূচি, বেলুড় মঠ সূত্রের খবর।
[আরও পড়ুন: CAA বিক্ষোভে বাংলায় ব্যাকফুটে বিজেপি! মোদির কাছে স্বীকার করলেন দিলীপরা]
সকাল ৮.৪০: মোদির বক্তৃতা মঞ্চ এসপিজি নিরাপত্তা বলয়ে। শেষ মুহূর্তে নিরাপত্তার খুঁটিনাটি পরীক্ষা করে নেওয়া হচ্ছে।
সকাল ৮.২৫: স্বামীজির মূর্তির সামনে ধ্যানে বসেন মোদি। প্রণাম করে রামকৃষ্ণদেবের মূর্তিতে।
সকাল ৮.১০: ঘুম থেকে ওঠার পর বেলুড়ে মঠের গেস্ট হাউস থেকে বেরিয়ে লনকার্টে স্বামী বিবেকানন্দের ঘরে যান মোদি। স্বামীজির মূর্তিতে ফুল দিয়ে প্রণাম করেন। বলেন, ‘স্বামীজি আমার জীবনের মূল অনুপ্রেরণা।’
[আরও পড়ুন: বাম ছাত্র সংগঠনের মিছিলে বাধা পুলিশের-পালটা ব্যারিকেড ভাঙচুর, ডোরিনা ক্রসিংয়ে ধুন্ধুমার]
সকাল ৭.৩০: বেলুড় মঠে চূড়ান্ত নিরাপত্তা। স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন উপলক্ষে সকাল থেকে শুরু যুব উৎসব। দর্শনার্থীদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে পুজো দেওয়ার ভিড় যথেষ্ট। কিন্তু আপাতত তাঁদের প্রবেশ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
The post দু’দিনের সফর শেষ, একাধিক কৌশলী রাজনীতির ছাপ রেখে দিল্লি উড়ে গেলেন মোদি appeared first on Sangbad Pratidin.