সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু গত দশ বছরে একটিও সাংবাদিক সম্মেলন করেননি। সাক্ষাৎকারও দিয়েছেন সামান্য কিছুই। এবার দীর্ঘ এক দশক ধরে একবারও সাংবাদিক সম্মেলন না করার আসল কারণ খোলসা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে মোদি ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী। তখনও তাঁকে দেখা যায়নি কোনও সাংবাদিক সম্মেলনে যোগ দিতে। যখনই সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে তিনি কিছু বলতে চেয়েছেন আলাদা ভিডিওতে বার্তা দিয়েছেন। কিন্তু কেন? বৃহস্পতিবার এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় এই প্রশ্নই করা হয় তাঁকে। উত্তর মোদি স্পষ্ট বলেন, "আমাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। আমি গরিব মানুষদের বাড়ি যেতে চাই। আমি বিজ্ঞানভবনে গিয়েও ফিতে কেটে ছবি তুলতে পারি। কিন্তু আমি তা করি না। আমি ঝাড়খণ্ডের একটি ছোট্ট গ্রামে চলে যাই। ছোট প্রকল্পের জন্য কাজ করি।"
[আরও পড়ুন: ‘চার প্রজন্ম ধরে সংবিধান ধ্বংস করেছে’, ‘শেহজাদা’ গান্ধী পরিবারকে তোপ মোদির]
প্রধানমন্ত্রীর কথায়, "আমি এক নতুন কর্মসংস্কৃতি এনেছি। সংবাদমাধ্যমের তা পছন্দ হলে বলবে, না হলে বলবে না। সংবাদমাধ্যম এখন আর কোনও আলাদা সত্ত্বা নয়। তাদের নিরপেক্ষতা প্রশ্নাতীত নয়। আগে জনগণের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র উপায় ছিল সংবাদমাধ্যম কিন্তু এখন সোশাল মিডিয়ার দৌলতে সেখানেই সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়।" তাছাড়া মোদির সাফ জবাব, "আমি সংসদে সমস্ত কিছু জানাতে বাধ্য এবং সেখানেই আমি সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি।"
এদিনের সাক্ষাৎকারে মোদি আরও বলেন,"যোগাযোগ একটি দ্বিমুখী প্রক্রিয়া। আজ, আপনার যদি জনসাধারণের সঙ্গে কথার প্রয়োজন হয় বলতে পারেন। মিডিয়া ছাড়াই তাদের কণ্ঠস্বর আপনার কাছে এসে পৌঁছবে। এমনকি একজন ব্যক্তিকে যদি কোনও কিছু নিয়ে উত্তর দিতে হয়, তিনি মিডিয়া ছাড়াই তার মতামত স্পষ্টভাবে জানাতে পারবেন।"
[আরও পড়ুন: ‘দেশে এমন কেউ জন্মেছে যে CAA বাতিল করতে পারে?’ নির্বাচনী প্রচারে বিরোধীদের তোপ মোদির]
টানা তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে নেমেছেন নরেন্দ্র মোদি। গত মঙ্গলবার মহাসমারোহে বারাণসী থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তিনি। বারাণসী কেন্দ্র থেকে গত দুবার লোকসভা নির্বাচনে জিতেছেন মোদি। জয়ের হ্যাটট্রিকের লক্ষ্যে ফের ময়দানে নেমে পড়েছেন তিনি। গত দুবারের প্রথা মেনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগে বারাণসীর কাল ভৈরব মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন প্রধানমন্ত্রী। কাল ভৈরবের বিগ্রহের সামনে দাঁড়িয়ে আরতিও করেন তিনি। মন্দিরে মোদির সঙ্গে হাজির ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।