সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিয়েভে পৌঁছে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে ইউক্রেন বেরিয়ে আসার পর এই প্রথম কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী পা রাখলেন সেদেশে। এই সফরে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করবেন মোদি। তার আগেই অবশ্য শান্তিপূর্ণভাবে ইউক্রেন সমস্যা মেটানোর বার্তা দিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, দুদিনের পোল্যান্ড সফর শেষ করেই শুক্রবার ভোরে ইউক্রেনে পা রাখলেন প্রধানমন্ত্রী।
গত মাসে রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন মোদি। সেই সময়ে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের তীব্র নিন্দা করেছিলেন জেলেনস্কি। তার পরেই জানা যায়, কেবল রাশিয়া নয় ইউক্রেন সফরেও যাবেন মোদি। সেই মতোই পোল্যান্ড সফর শেষে শুক্রবার তিনি পা রাখেন ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে। উল্লেখ্য, মোদির দুটি বিদেশ সফরের মধ্যে মাত্র ৬ সপ্তাহের ব্যবধান রয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই কিয়েভে পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: পাকিস্তানে কনভয়ে রকেট হামলা ডাকাতদের, মৃত অন্তত ১১ পুলিশকর্মী]
তবে কিয়েভে পৌঁছনোর আগেই শান্তি বজায় রাখার বার্তা দিতে শোনা গিয়েছিল মোদিকে। তিনি বলেন, বন্ধু এবং সঙ্গী হিসাবে ভারত চায় পূর্ব ইউরোপে শান্তি ফিরুক। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, "প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে আমার যা কথা হয়েছিল, সেটাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গড়ে তোলার পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা হবে। শান্তিপূর্ণভাবে যেন এই সমস্যা মেটানো যায়, সেই বিষয়টি তুলে ধরব।"
মোদির সফরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে ইউক্রেনও। প্রেসিডেন্টের অন্যতম উপদেষ্টা মিখাইলো পোদোলিক বলেন, "মোদির সফর আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের মতো দেশের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলে তাদের বোঝাতে হবে যে, যুদ্ধের সঠিক পরিণতি কী হওয়া উচিত।" মিখাইলোর মতে, যেহেতু নয়াদিল্লির সঙ্গে মস্কোর সুসম্পর্ক আছে তাই মোদির এই সফরের প্রভাব পড়বে রাশিয়ার উপর।