shono
Advertisement

Breaking News

ভারতে চিতার পুনরাবির্ভাব, নামিবিয়াকে ধন্যবাদ জানিয়ে কুনো অভয়ারণ্যে ৮ চিতা ছাড়লেন মোদি

'স্বাধীনচেতা চিতা ভারতের শক্তির প্রতীক', চিতার আগমনে আবেগাপ্লুত মোদি।
Posted: 12:11 PM Sep 17, 2022Updated: 12:20 PM Sep 17, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী, ভারতে চিতার (Cheetah) পুনরাবির্ভাব ঘটল। শনিবার সকাল প্রায় ১০ টা নাগাদ মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) গোয়ালিওর বিমানবন্দরে নামিবিয়া থেকে ৮ টি চিতা নিয়ে নামল বিশেষ চিনুক বিমান। কুনো পালপুর অভয়ারণ্যে চিতাদের ছাড়া হল। আর ৭০ বছর পর খরা কাটিয়ে নতুন করে চিতাদের বাসস্থানে ছেড়ে দিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Narendra Modi)। এ এক উদযাপনের বিষয়ই বটে!

Advertisement

 

নামিবিয়া (Namibia) থেকে চিতাদের নিয়ে বিশেষ বিমান বি-৭৪৭ জাম্বো জেট রওনা দিয়েছিল শুক্রবারই। সারারাত আকাশে উড়তে উড়তে সকালে দিল্লি হয়ে গোয়ালিওরের মাটিতে নামে। তাদের বিমানে আনা হয় বিশেষ সুরক্ষার সঙ্গে। বিমান থেকে ৮ টি চিতাকে নামিয়ে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় কুনো জাতীয় উদ্যানে। বেলা ১১টা নাগাদ মধ্যপ্রদেশের সেই অরণ্যে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনিই গাড়ি দরজা খুলে মুক্ত অরণ্যে ছেড়ে দেন ৫ স্ত্রী ও তিনটি পুরুষ চিতাকে।

 

তারপর প্রধানমন্ত্রী তাদের ছবিও তোলেন। সম্পূর্ণ অপরিচিত পরিবেশ দেখে প্রথমে কিছুটা হকচকিয়ে গিয়েছিল ভারত থেকে লুপ্ত প্রাণীগুলো। তবে তাদের চলনবলন, শরীরী ভাষা দেখে মুগ্ধ উপস্থিত সরকারি আধিকারিক, বনকর্মীরা।

চিতার মতো বন্যপ্রাণীকে ভারতে ফেরানোর জন্য নামিবিয়াকে ‘বন্ধু দেশ’ বলে উল্লেখ করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, চিতা শুধু প্রকৃতিরই বাসিন্দা নয়, ভারতের ঐতিহ্য-পরম্পরার সঙ্গে বহু মিল এই বন্যপ্রাণীর। চিতা স্বাধীনচেতার প্রতীক। আর তাই স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষপূর্তিতে চিতাদের ফিরে আসা অন্য মাহাত্ম্য বহন করে। এই আট চিতাই দেশের প্রকৃতি, অরণ্যাঞ্চলে আমুল বদল আনবে বলে আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, প্রকৃতি সংরক্ষণ, চিতার পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা – এসবই পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

[আরও পড়ুন: নজরে দেড় একর জমি, অনুব্রতকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ভারত সেবাশ্রমে সিবিআই]

১৯৫২ সালে চিতাকে বিলুপ্ত (Extinct) বলে ঘোষণা করা হয়েছিল কেন্দ্রের তরফে। তা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর আক্ষেপ, ”দুর্ভাগ্য এই যে তাদের পুনর্বাসনের জন্য কেউ কোনও চেষ্টা করেনি। এবছর স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব উপলক্ষে চিতাদের ফিরিয়ে নতুন শক্তি প্রদর্শন করল ভারত।” সম্পূর্ণ অপরিচিত পরিবেশে আফ্রিকার (Africa) দুরন্তগতির প্রাণীটি কীভাবে নিজেদের মানিয়ে নেবে, সেই প্রশ্ন ওঠায় প্রধানমন্ত্রী তার জবাবও দেন। তাঁর কথায়, ”ওরা আমাদের এখানকার অতিথি। এই অরণ্যকেই নিজেদের বাসস্থান বলে মানিয়ে নিতে কিছুটা সময় লাগবে। আমরা যেন সেই সময় দিয়ে, যত্ন দিয়ে ওদের আপন করে নিতে পারি। এই দায়িত্ব সকলের।” 

[আরও পড়ুন: Pushpanjali #ChantBangla: বাংলাতেই দেব পুষ্পাঞ্জলি, অঙ্গীকার করুক বাঙালিরা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement