সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রয়াত হয়েছেন রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজ শ্রীমৎ স্বামী স্মরণানন্দ। তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ ভক্ত অনুগামীরা। শোকপ্রকাশ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার রাতে এক্স হ্যান্ডলে শোকবার্তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও। তিনি স্মরণ করেছেন এমাসের গোড়ায় শহরে এসে হাসপাতালে অসুস্থ স্মরণানন্দকে দেখতে যাওয়ার দিনটির। সেই সঙ্গে ২০২০ সালে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রী জানাচ্ছেন, অসংখ্য হৃদয়ে চিরকালীন ছাপ রেখে গিয়েছে প্রয়াত স্বামী স্মরণানন্দ (Swami Smaranananda)।
মোদি লিখেছেন, 'স্বামী স্মরণানন্দজি মহারাজ, রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের শ্রদ্ধেয় অধ্যক্ষ তাঁর জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন আধ্যাত্মিকতা ও সেবায়। অসংখ্য হৃদয়ে তিনি চিরকালীন ছাপ রেখে গিয়েছেন। তাঁর করুণা ও প্রজ্ঞা বহু প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে। আমার সঙ্গে তাঁর বহু বছর ধরেই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। ২০২০ সালে বেলুড় মঠে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের কথা মনে পড়ছে, যখন আমার ওঁর সঙ্গে কথা হয়েছিল। কয়েক সপ্তাহ আগে কলকাতায় এলে, আমি হাসপাতালে ওঁকে দেখতে গিয়েছিলাম। খোঁজ নিয়েছিলাম তাঁর স্বাস্থ্যের। বেলুর মঠের অসংখ্য অনুগামীদের সঙ্গে আমার ভাবনা রয়েছে। ওম শান্তি।'
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও তাঁর এক্স হ্যান্ডলে শোকপ্রকাশ করেছেন। তিনি লেখেন, 'আমরা হয়তো তাঁর পার্থিব অস্তিত্বকে হারিয়েছি, কিন্তু তাঁর জীবন...'
গত ৫ মার্চ সন্ধ্যায় কলকাতায় আসেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। বিমানবন্দরে নেমেই তিনি যান হাসপাতালে। ল্যান্সডাউনের শিশুমঙ্গল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন স্বামীজিকে দেখতে। তাঁর স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়ার পর সেখানে তাঁর চিকিৎসা নিয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গেও কথা বলেন। এদিকে গতকাল, মঙ্গলবার রাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata Banerjee) তাঁর শোকবার্তায় বলেন, ''নিজের দীর্ঘ জীবনকালে স্মরণানন্দজি মহারাজ রামকৃষ্ণ চেতনার মাধ্যমে গোটা বিশ্বকে আধ্যাত্মিকতার পথ দেখিয়েছেন। আজও তিনি বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ ভক্ত ও অনুগামীদের অনুপ্রেরণা।''
[আরও পড়ুন: বিজেপি ছাড়ছেন রুদ্রনীল! লোকসভায় টিকিট না পেয়েই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত?]
মঙ্গলবার রাত ৮টা ১৪ মিনিটে প্রয়াণ হয় স্বামী স্মরণানন্দের। তাঁর দেহ শায়িত রয়েছে সংস্কৃত ভবনে। বুধবার সকাল থেকেই বহু অনুগামী তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হয়েছেন সেখানে। রাত ৯টায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে প্রয়াত অধ্যক্ষের।