নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: ভেঙে পড়েছিল দেশের অর্থনীতি। সেখান থেকে ভারতকে টেনে বের করে এনেছে মোদি সরকার। মাত্র ১০ বছরের মধ্যেই বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির তালিকায় প্রথম পাঁচে উঠে এসেছে ভারত। বাজেট অধিবেশনে জবাবি ভাষণ দিতে গিয়ে এভাবেই কংগ্রেসকে তোপ দাগলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আর সেই কাজে তাঁর হাতিয়ার হল কংগ্রেসের প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী ও মনমোহন সিংয়ের মন্তব্য।
বুধবার রাজ্যসভায় জবাবি ভাষণের শুরু থেকেই প্রধানমন্ত্রীর নিশানায় ছিল হাত শিবির। কংগ্রেসের (Congress) অন্দরে বিশেষ দুই ব্যক্তির প্রাধান্য থেকে শুরু করে পূর্বতন কংগ্রেস সরকারগুলোর ব্যর্থতা-সমস্ত বিষয়ই উঠে এসেছে মোদির ভাষণে। মোদি বলেন, কংগ্রেসের ব্যর্থতার জন্য ক্রমশ পিছিয়ে পড়েছে দেশের উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলো। শত্রুদের হাতেও বিশাল জমি তুলে দিয়েছে কংগ্রেস।
[আরও পড়ুন: ৪০ আসনও পাবে না! কংগ্রেসকে খোঁচা দিতে মমতাই ‘হাতিয়ার’ মোদির]
তবে জবাবি ভাষণের প্রথমদিকটা জুড়ে ছিল দেশের অর্থনীতির প্রসঙ্গ। মোদি বলেন, “স্বাধীনতার পর থেকেই কংগ্রেস ধন্দে ছিল, শিল্প না কৃষি কোনটাকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত। তাই ১০ বছর ধরে সরকারে থেকেও বিশ্বের অর্থনীতিতে ১২ নম্বর থেকে ১১ নম্বরে নিয়ে গিয়েছিল ভারতকে। এই কংগ্রেস এখন দেশের অর্থনীতি নিয়ে লম্বা ভাষণ দিচ্ছে আমাদের।”
কংগ্রেসকে বিঁধতে গিয়ে হাত শিবিরের প্রধানমন্ত্রীদের মন্তব্যই তুলে ধরেন মোদি। রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে বলেন, “প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং মেনে নিয়েছিলেন যে দেশের অর্থনীতি ক্রমেই দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। দুর্নীতির কারণে জেরবার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ, সরকারি সংস্থার অপব্যবহার হচ্ছে।” নাম না করে আরেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর স্বীকারোক্তিও তুলে ধরেন মোদি। দেশের নানা প্রান্তে দুর্নীতি হচ্ছে বুঝেও কিছু করেনি কংগ্রেস, এই কথা শোনা যায় মোদির মুখে। তিনি আরও বলেন, দেশের অর্থনীতির হাল ফেরাতে কোনও উদ্যোগ নেয়নি কংগ্রেস। কিন্তু গত ১০ বছরে কঠোর পরিশ্রম করে দেশকে আর্থিক সংকট থেকে বের করে এনেছে এই সরকার।