সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেসিডেন্ট পদে বসার পর পেরিয়ে গিয়েছে প্রায় তিন সপ্তাহ। অবশেষে নয়াদিল্লির লোককল্যাণ মার্গের সঙ্গে কথা হল হোয়াইট হাউসের।
[আরও পড়ুন: রাজ্যসভায় প্রধানমন্ত্রী মোদির বক্তব্যের পর ফের বৈঠকে রাজি কৃষকরা]
বাড়িতে সময় কাটিয়ে সদ্য সাদা বাড়িতে ফিরেছেন প্রেসিডেন্ট বিডেন। গত কয়েকদিন ধরেই বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে টেলিফোন-কূটনৈতিক দৌত্যে জোর দিচ্ছিলেন তিনি। তবে নয়াদিল্লির সঙ্গে কথাটা হল সোমবার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেই টুইট করে বিডেনের সঙ্গে কথা এবং দুই দেশের কূটনৈতিক আলোচনার কথা জানান। জলবায়ু সুরক্ষায় দুই দেশ পরস্পরকে সাহায্য করতে সম্মত হয়েছে এ কথাও জানিয়েছেন মোদি। দুই দেশের কৌশলগত অংশিদারিত্ব যে অটুট থাকবে সে কথাও টুইটে উল্লেখ করেছেন তিনি। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখতে আশু কর্তব্য নির্ধারণেও কথা হয়েছে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। ওই অঞ্চলে চিনা কার্যকলাপের প্রেক্ষিতে এই আলোচনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
হোয়াইট হাউস দখলের লড়াইয়ে জো বিডেন জয় সুনিশ্চিত করার পরই তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বার্তা পাঠান মোদি। পরে তাঁর শপথগ্রহণ পর্ব মিটলেও টুইটারে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি। তবে কথা হল এতদিন পরেই। গত কয়েকদিনে বিডেন ফোনে কথা বলেছেন, কানাডা, মেক্সিকো, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ন্যাটো-র সেক্রেটারি এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে। তবে চিনের সঙ্গে এখনও কথা হয়নি তাঁর। রবিবার সম্প্রচারিত এক বার্তায় চিন প্রসঙ্গে বিডেন জানান, “কঠোর প্রতিযোগিতা হবে, উনিও সেটা বুঝতে পারছেন সেই কারণেই তেমন ইঙ্গিতও পাঠাচ্ছেন।” ট্রাম্প যেভাবে সম্পর্ক চালিয়েছেন সেই পথে তিনি চলবেন না জানিয়েও বিডেনের বক্তব্য, বিশ্বের কিছু সার্বিক নিয়ম আছে, যা মেনে চলা উচিত।