সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাশ্মীর (Kashmir) হল ভারতের কপাল। বিকশিত ভারত গড়ে তুলতে গেলে সবার আগে দরকার বিকশিত কাশ্মীর। ৩৭০ ধারা বিলোপের পরে প্রথমবার কাশ্মীরে গিয়ে ঢালাও উন্নয়নের বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। জানিয়ে দিলেন, কাশ্মীরবাসীর মন জিততেই উপত্যকায় গিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার শ্রীনগর পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে ৬ হাজার ৪০০ কোটির মোট ৫৩টি প্রকল্পের ঘোষণা করেন। সরকারি চাকরির নিয়োগপত্রও তুলে দেন বেশ কয়েকজনের হাতে। তার পরে ভাষণ দিতে গিয়ে মোদির মুখে শোনা যায় বিকশিত কাশ্মীরে উন্নয়নের বার্তা। তাঁর কথায়, “আজকে যেসমস্ত প্রকল্প উদ্বোধন হল সেগুলো কাশ্মীরের উন্নতি করবে। আর কাশ্মীরের বিকাশ মানেই ভারতের বিকাশ। এই কাশ্মীর দেখার জন্যই নিজের প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিলেন ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। কাশ্মীরিদের হাসিমুখ দেখলেই দেশের ১৪০ কোটি মানুষ খুশি থাকবেন।”
[আরও পড়ুন: নীতীশের আগমনে বিহারে ভাঙছে NDA? চিরাগ পাসওয়ানকে দুর্দান্ত ‘অফার’ ইন্ডিয়ার]
শুধু উন্নয়নের প্রকল্প নয়, ৩৭০ ধারা বিলোপ কীভাবে কাশ্মীরে শান্তি ফিরিয়েছে সেই কথাও উঠে আসে মোদির মুখে। তাঁর কথায়, বহুদিন ধরে কংগ্রেস ও তার সঙ্গীরা ৩৭০ ধারা ব্যবহার করে কাশ্মীরিদের ভুল বুঝিয়েছে। কয়েকটা পরিবারের ফায়দার জন্য কাশ্মীরকে শিকলে বেঁধে রাখা হয়েছিল। কিন্তু এখন সেই ৩৭০ ধারা আর নেই। তাই কাশ্মীরের যুবসমাজের প্রতিভার কদর হচ্ছে, সকলের জন্য সমান সুযোগ তৈরি হচ্ছে। আগামী দিনে সারা পৃথিবীর আকর্ষণ তৈরি হবে কাশ্মীরকে ঘিরেই।
বিশ্লেষকদের মতে, কাশ্মীর থেকে সন্ত্রাসবাদ একেবারে সমূলে উৎপাটন করতে চান মোদি। সেই জন্যই ঢালাও উন্নয়নের পথে হাঁটছে কেন্দ্র। উন্নয়ন হলে জনমানসে জঙ্গিদের প্রভাব কমবে, কর্মসংস্থান হলে কমবে সন্ত্রাসবাদও। সেই জন্যই লোকসভা নির্বাচনের আগে কাশ্মীরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা, “আপনাদের মন জিততে এসেছি। কারণ জম্মু-কাশ্মীর শুধু একটা এলাকা নয়। এটা ভারতের কপাল।” প্রধানমন্ত্রীর কথায়, কৃষকদের ক্ষমতায়ন, পর্যটনের সম্ভাবনা- সমস্ত কিছু নিয়েই আরও উন্নত কাশ্মীর গড়ে উঠবে আগামী দিনে।