সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোট ঘোষণার পর বাংলায় দ্বিতীয় দফা প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। ভাঙড়া মোড়ের সভা থেকে পুরুলিয়ার শহিদ পরিবারের সদস্যদের সম্মান জানান প্রধানমন্ত্রী। বাংলা ভাষায় উপস্থিত জনতাকে সম্বোধনও করেন তিনি। সভা থেকে উপস্থিত জনতাকে কী বললেন মোদি, রইল তাঁর বক্তব্যের হাইলাইটস।
Advertisement
- পুরুলিয়ার মাটি রাম-সীতার বনবাসের সাক্ষী। বনবাসের সময় সীতা যখন তৃষ্ণার্ত ছিলেন, শ্রীরাম মাটিতে বাণ মেরে জলের ধারা এনেছিল। এর থেকেই বোঝা যায় পুরুলিয়ায় জলের অবস্থা কত ভাল ছিল।
- এখন পুরুলিয়ায় মারাত্মক জলকষ্ট। ৮ বছরে জলপ্রকল্পের কাজ শেষ করতে পারেনি। আমজনতার এতটাই জলকষ্ট যে তাঁরা ঠিকমতো চাষ করতে পারেন না। পানীয় জলের জন্য মহিলাদের অনেক দূরে যেতে হয়।
- বাম ও রাজ্যের শাসকদল গোটা দেশের কাছে পুরুলিয়াকে পিছিয়ে পড়া জেলা হিসেবে তুলে ধরেছেন। তৃণমূল আমলে আরও পিছিয়ে পড়েছে পুরুলিয়া। বিজেপি ক্ষমতায় এলে সমস্ত কষ্ট দূর হবে। ডাবল ইঞ্জিনের সরকার চলব। উন্নয়ন হবে। পুরুলিয়ায় হস্তশিল্পের বিকাশের সুযোগ রয়েছে।
- দিদিকে নিজের কাজের হিসেব দিতে হবে। বছরের পর বছর ধরে একটা সেতুও তৈরি করতে পারল না তৃণমূল। এখন উন্নয়নের কথা বলছে। তারা তো নিজের খেলাতে ব্যস্ত।
- বিজেপি যেখানে যেখানে ক্ষমতায় এসেছে সেখানে হাজার হাজার কিলোমিটার জলের পাইপ লাইন বসেছে। জলের কষ্ট দূর হয়েছে। চাষিরা নিজেদের মতো চাষ করতে পারবে। বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় এলে জলের কষ্ট দূর করবে। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা রেল দিয়ে যুক্ত করা হবে। ২ মে-র পর বিজেপি সরকার গড়লে ডানকুনির ফ্রেট করিডরের কাজ দ্রুত শেষ হবে। সড়কপথেরও উন্নয়ন করবে। কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। পুরুলিয়ার মানুষকে বাইরে যেতে হবে না।
- আমি দিল্লিতে থেকেও পুরুলিয়ার কষ্ট বুঝি। তাই সেই কষ্ট দূর করার চেষ্টা করছি। আমি জানি কীভাবে তোষণের নামে এখানকার যুবদের অধিকার অন্যদের দিয়ে দেওয়া হয়েছে?
- মা-মাটি-মানুষের সরকারের যদি আদিবাসী, দলিত, পিছিয়ে পড়া শ্রেণির মানুষের প্রতি যদি ভালবাসা থাকত তাহলে এটা করতে পারত না।
- তৃণমূল মাওবাদিদের জন্য নতুন প্রজন্ম তৈরি করে দিয়েছে।
- ভয় তোমার অস্ত্র, মা দুর্গার আর্শীবাদে তুমি হবে পরাস্ত।
- দিদি বলে খেলা হবে, বিজেপি বলে চাকরি হবে। দিদি বলে খেলা হবে, বিজেপি বলে বিকাশ হবে।
- খেলা শেষ হবে, বিকাশ শুরু হবে। বাংলার মানুষের চেয়ে দিদির খেলা নিয়ে বেশি চিন্তা।
- কলকাতার ব্রিগেড সভার পর যা হচ্ছে, তা আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন।
- দশ বছর তোষণের পর আচমকাই দিদিকে মনমরা লাগছে। এটা পরিবর্তন নয়। হারার ভয়। আপনি এসলব করে যান, খেলতে থাকুন। কিন্তু বাংলার মানুষের স্মৃতিশক্তি খুব ভাল। গাড়ি থেকে নেমে আপনি কতজনকে বকাবকি করেছিলেন। রামনাম সহ্য করতে পারেন না দিদি।
- বাটলা হাউজ এনকাউন্টারে সন্ত্রাসবাদীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন দিদি। কেন প্রশ্ন তুলেছিলেন দিদি, মানুষ সব বোঝে। ভারতীয় সেনার দিকেও আঙুল তুলেছিলেন দিদি। বাংলায় অনুপ্রবেশকারী হাওয়া দেওয়ার পিছনেও একটাই লক্ষ্য। ভোটব্যাংকের রাজনীতি।
- তাই বাংলার মানুষ বলছে লোকসভা হাফ, এ বছর পুরো সাফ।
- দিদিও দেশের আর বাকি পাঁচটা মেয়ের মতোই মেয়ে। তাঁর সম্মান আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তাই চাই দিদি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন।
- TMC-এর নতুন ব্যাখ্যা ট্রান্সফার মাই কমিশন।
- বিজেপি ক্ষমতায় এলে অপরাধীদের শাস্তি হবে।
- ২ মে দিদি যাচ্ছেন। আসল পরিবর্তন আসছে।
- এবার আর ভয় নেই, শুধু জয়।