সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা ভোটের প্রচার চলাকালীন অকস্মাৎ বিস্ফোরণ ঘটান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যে আদানিদের সঙ্গে আঁতাঁতের অভিযোগে তাঁকে বারবার বিদ্ধ করে এসেছে কংগ্রেস। সেই আদানিদের সঙ্গেই কংগ্রেসের নাম জুড়ে দেন তিনি। দাবি করেন, "আদানিদের কালো টাকা টেম্পোতে করে গিয়েছে কংগ্রেসের ঘরে।" মোদির সেই মন্তব্যে আলোড়ন পড়ে যায় গোটা দেশে। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্তের দাবিতে আর্জি জমা পড়ে লোকপালের কাছে।
দুর্নীতি প্রতিরোধ সংস্থা লোকপালের হাতে দেশের প্রধানমন্ত্রী, ক্যাবিনেট মন্ত্রী, সাংসদ ও শীর্ষ স্তরের আমলাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তের ক্ষমতা রয়েছে। লোকপালে জমা পড়া অভিযোগে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) কাছে আম্বানি এবং আদানিদের কালো টাকার ও লেনদেনের খবর থাকা সত্ত্বেও তিনি এ বিষয়ে কোনও ব্যবস্থা নেননি। তাই তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত হোক। একই সঙ্গে আদানি-আম্বানি এবং রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধেও তদন্ত হোক।
[আরও পড়ুন: একুশের সমাবেশে কীভাবে যান নিয়ন্ত্রণ, জেনে নিন বন্ধ থাকবে কোন কোন রাস্তা]
লোকপালের প্রধান এখন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এ এম খানউইলকর। তিনি রিপোর্ট দিয়ে জানিয়েছেন, "ভোটের প্রচারের সময় মোদি যেটা বলেছেন সেটা নির্বাচনের প্রোপাগান্ডা। অনুমানের ভিত্তিতে মন্তব্য বা কাল্পনিক প্রশ্ন। আন্দাজ করে বিরোধীদের কোণঠাসা করতে ভোটের প্রচারে ওই মন্তব্য করা হয়েছে। এটা নিয়ে অভিযোগ দায়ের করা বাড়াবাড়ি।" যদিও লোকপালের রায়ে প্রধানমন্ত্রীর নাম উল্লেখ করা হয়নি।
[আরও পড়ুন: একুশের সমাবেশে বড় চমক, মমতার সঙ্গে মঞ্চে থাকছেন অখিলেশ]
উল্লেখ্য, লোকসভার প্রচার চলাকালীন তেলেঙ্গানার সভা থেকে মন্তব্য করেন, "পাঁচ বছর ধরে কংগ্রেসের শাহাজাদা একটা মন্ত্রই জপ করে গিয়েছে। রাফালে নিয়ে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ার পর থেকেই আদানি-আম্বানির এই মন্ত্র জপ শুরু করেছিল। কিন্তু নির্বাচন (Lok Sabha 2024) ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই আদানি-আম্বানির নাম নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।" মোদি প্রশ্ন করেন, "আদানি-আম্বানির থেকে কত টাকা নিয়েছেন? কোনও চুক্তি হয়েছে? কেন রাতারাতি ওদের আর গালাগালি দেওয়া বন্ধ করে দিলেন? ডাল মে কুছ কালা হ্যায়! কত ব্যাগ কালো টাকা তাঁদের কাছ থেকে পেয়েছেন? এই আচমকা নীরবতার মানে হল আপনিও টেম্পো ভর্তি চোরি কা মাল পেয়েছেন।”