নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: আজই চলতি লোকসভার শেষদিন। সাধারণ নির্বাচনের আগে শেষবারের মতো বসতে চলেছে সদন। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আবারও ‘রাম’ অস্ত্রে শান দিতে তৈরি গেরুয়া শিবির। অযোধ্যায় রামমন্দির প্রতিষ্ঠা নিয়ে আজ শনিবার লোকসভায় স্বল্পমেয়াদি আলোচনার প্রস্তাব আনতে চলেছে শাসক শিবির। এখন দেখার বিযয় হল, বিরোধী দলগুলো এই আলোচনায় অংশ নেবে কি না? নিলেও তাদের অবস্থান কী হবে?
জানা গিয়েছে, সংসদের নিম্নকক্ষে আজ রামমন্দির প্রতিষ্ঠা নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব পেশ করবেন সাংসদ সত্যপাল সিং ও ড. শ্রীকান্ত একনাথ শিন্ডে। এখন দেখার বিরোধী দলগুলো কী অবস্থান নেয়, আলোচনায় যোগ দিলে সে ক্ষেত্রে রামমন্দির নির্মাণকে স্বাগত জানানো ছাড়া উপায় থাকবে না তাদের কাছে। যা ঘুরিয়ে দলের কৃতিত্ব বলে প্রচারের সুযোগ পাবেন বিজেপি নেতৃত্ব। রামমন্দিরের বিরোধিতা করলেও তা প্রতিপন্ন হবে হিন্দু-বিরোধী অবস্থান তথা তোষণের রাজনীতি হিসাবে।
[আরও পড়ুন: অমিত ‘দরবারে’ চন্দ্রবাবুর পরই মোদি সাক্ষাতে জগন, অন্ধ্রে চলছে কোন খেলা?]
বলে রাখা ভালো, পূর্বনির্ধারিত সূচি মোতাবেক শুক্রবারই ছিল বাজেট অধিবেশনের শেষ দিন। কিন্তু বৃহস্পতিবার অধিবেশন এক দিন বৃদ্ধি করার প্রস্তাব আনে সরকার পক্ষ। যাতে আর্থিক শ্বেতপত্র নিয়ে শনিবার সংসদে আলোচনা করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু গতকালই লোকসভায় সেই আর্থিক শ্বেতপত্র নিয়ে আলোচনা শেষ হয়ে যায়। ফলে স্বভাবতই শনিবার কী নিয়ে আলোচনা হবে, সেদিকে নজর ছিল।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আবারও ‘রাম’ অস্ত্রে শান দিতে তৈরি গেরুয়া শিবির। কারণ, এই ইস্যুতে ‘শ্যাম রাখি না কুল’ দশা বিরোধীদের। অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধনে না গিয়ে ‘মৃতপ্রায়’ দলে যে সেই অর্থে প্রাণপ্রতিষ্ঠা করা যায়নি তা এখন ভালোই বুঝতে পারছে কংগ্রেস। ধর্ম নিরপেক্ষতা বা ভালোবাসার দোকান খুললেও ‘পৈতেধারী’ রাহুল গান্ধীরা ভোটারদের কতটা কাছে টানতে পারবেন তা নিয়ে সংশয় থাকছেই। তাছাড়া, ইন্ডিয়া জোটের এখন সাড়ে বত্রিশ ভাজা অবস্থা। মওকা বুঝে বিজেপিও সদম্ভে হিন্দুত্বের নিশান উড়িয়েছে। কংগ্রেসকে ‘হিন্দু-বিরোধী’ প্রতিপন্ন করার চেষ্টাতেও খামতি নেই গেরুয়া শিবিরের। সব মিলিয়ে সংসদের শেষদিনে নরেন্দ্র মোদির কৌশলে নতুন করে প্যাঁচে বিরোধী নেতৃত্ব।