সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুরুটা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনা। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় কেন্দ্রের আঘাত-সহ একাধিক ইস্যুতে নীতি আয়োগের বিরোধিতার পথ প্রথম দেখান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দেখানো পথে হেঁটে একে একে ১১ জন মুখ্যমন্ত্রী বয়কট করলেন নীতি আয়োগের বৈঠক। কেন্দ্র বলছে, ‘যারা এলেন না লোকসান তাঁদের। সমৃদ্ধ আলোচনা থেকে তাঁরা বঞ্চিত।’
নীতীশ কুমার, অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal), অশোক গেহলট, এম কে স্ট্যালিন, সিদ্দারামাইয়া, ভগবন্ত সিং মান, পিনারাই বিজয়নদের সঙ্গে চন্দ্রশেখর রাও, নবীন পট্টনায়েকরাও নীতি আয়োগের এই বৈঠক বয়কট করা মুখ্যমন্ত্রীদের তালিকায়। নীতি আয়োগের সিইও বিভিআর সুব্র্যহ্মণ্যম বলছেন,”১১ জন মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে আসেননি। তবে অনেকেই এসেছেন। এই ধরনের অনুপস্থিতি আমি আগেও দেখেছি। হয়তো ওই মুখ্যমন্ত্রীদের ব্যক্তিগত কোনও কারণ ছিল।”
[আরও পড়ুন: রেকর্ড সময়ে নির্মাণ নয়া সংসদ ভবনের, বয়কট নয়, প্রশংসা করুন, বিরোধীদের বললেন গুলাম নবি]
পরক্ষণেই নীতি আয়োগের (Niti Ayog) সিইও খানিকটা তাচ্ছিল্যের সুরে বিরোধীদের কাঠগড়ায় তুলে বিভিআর সুব্র্যহ্মণ্যম বলে দিচ্ছেন,”বৈঠকে আপনারা না এলে লোকসান আপনাদেরই। আপনারাই এই সমৃদ্ধ আলোচনাটা থেকে বঞ্চিত হলেন, এই উন্নত চিন্তাভাবনা থেকে বঞ্চিত হলেন। হ্যাঁ আমরা বলছি না যে আপনারা এলেন না বলে আপনাদের বয়কট করব। আমরা গোটা দেশের জন্যই পরিকল্পনা করব। তাতে কোনও রাজ্যই বাদ যাবে না। কিন্তু যারা এলেন না তাঁদের লোকসান।” বিভিআর সুব্র্যহ্মণ্যম জানিয়েছেন, কেন্দ্রের সব নীতিকে রাজ্যস্তরে কার্যকর করার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর প্রধানমন্ত্রীও। তিনি বলছেন,”প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন আমাদের থিম যেহেতু বিকশিত ভারত, তাই আমাদের শুধু কেন্দ্রীয় স্তরে নীতি প্রণয়ন করলে হবে না। রাজ্যস্তরে নীতি প্রণয়ন করতে হবে। জেলাস্তরে নীতি প্রণয়ণ করতে হবে।”
[আরও পড়ুন: শালবনি হাসপাতালে সারপ্রাইজ ভিজিট মুখ্যমন্ত্রীর, নাম দিলেন সদ্যোজাত শিশুর]
বস্তুত কেন্দ্রের নীতি আয়োগ বৈঠক নিয়ে অভিযোগ বহু। এবারের বৈঠকে স্বাস্থ্য, মহিলাদের ক্ষমতায়ণ, পরিকাঠামো উন্নয়ন-সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনার কথা রয়েছে৷ এছাড়াও ২০৪৭ সালের মধ্যে কীভাবে ভারতকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করা যায় তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। বৈঠকের এজেন্ডাও দিল্লি তৈরি করেছে। সেগুলি মূলত মোদি (Narendra Modi) সরকারের কর্মসূচি। এবারও যেমন পিএম গতিশক্তি, বিকশিত ভারত-২০৪৭, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশে কেন্দ্রের পরিকল্পনা আলোচ্য সূচিতে রয়েছে। অথচ, আগের যোজনা পরিষদ বা বর্তমান নীতি আয়োগের মূল ভাবনায় ছিল রাজ্যগুলিকেও সমানভাবে তাদের বক্তব্য তুলে ধরার সুযোগ দিতে হবে। সেই প্রক্রিয়া থেকে নীতি আয়োগ সরে গিয়েছে বলে অবিজেপি রাজ্যগুলির অভিযোগ।