সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যুদ্ধ (Russia-Ukraine War) পরিস্থিতিতে একাধিকবার ভারতের দ্বারস্থ হয়েছে ইউক্রেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে আরজি জানিয়েছে যাতে তিনি রাশিয়াকে যুদ্ধ থামাতে অনুরোধ করেন। এমন পরিস্থিতিতে আজ অর্থাৎ সোমবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লোদিমির জেলেনস্কিকে ফোন করতে চলেছেন মোদি (PM Narendra Modi)। যা এই যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দ্বিতীয়বার। কথা বলবেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও। প্রসঙ্গত, সংঘর্ষ থামাতে আজই তৃতীয়বারের জন্য বৈঠকে বসতে চলেছে ইউক্রেন-রাশিয়া। তার আগে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর এই ফোন যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
গত ১২ দিন যাবৎ দু’দেশের মধ্যে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চলছে। যার মাঝে পরে প্রাণ যাচ্ছে আমজনতার। এদিকে ইউক্রেনে (Ukraine Crisis) ডাক্তারি পড়তে গিয়ে আটকে পড়েছিলেন বহু ভারতীয় পড়ুয়া। আদৌ বাড়ি ফিরতে পারবেন কিনা তা নিয়ে নিশ্চিত ছিলেন না তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের দেশে ফেরাতে রাশিয়া এবং ইউক্রেন দু’দেশের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। শেষপর্যন্ত পড়শি দেশের সীমান্ত থেকে বায়ুসেনার বিমানে চাপিয়ে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয় তাঁদের। সোমবারও ‘অপারেশন গঙ্গা’র একটি বিমান আসবে দেশে। ইউক্রেনে গুলিবিদ্ধ ভারতীয় পড়ুয়া হরজ্যোতও ফিরবেন সেই বিমানে।
[আরও পড়ুন: অমোঘ প্রেমের টান, ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে বাংলাদেশি যুবককে বিয়ে জার্মান তরুণীর]
কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, ইউক্রেন থেকে প্রায় সকল ভারতীয়কেই ফেরানো হয়েছে। সুমি সীমান্তে কয়েকজন আটকে রয়েছেন, তাঁদেরও ফেরানো হবে দ্রুত। ইতিমধ্যে অপারেশন গঙ্গার শেষ বিমানের সূচিও ঘোষিত হয়ে গিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে ফোন করতে চলেছেন মোদি। কেন্দ্রীয় সূত্রে খবর এমনটাই।
বস্তুত এর আগেও একাধিকবার যুদ্ধ বন্ধে ভারতের সাহায্য চেয়েছে ইউক্রেন। খোদ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলেছেন। ভারতের ইউক্রেনীয় রাষ্ট্রদূতও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে যুদ্ধ বন্ধে পদক্ষেপ করতে আরজি জানিয়েছেন। যদিও ভারতের সমর্থন এখনও খানিকটা হলেও রাশিয়ার দিকে ঝুঁকে রয়েছে। এখনও কোনও আন্তর্জাতিক ফোরামে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দেয়নি ভারত সরকার। রাশিয়ার বিরুদ্ধে কোনও নিষেধাজ্ঞাও জারি করেনি নয়াদিল্লি। এরপরও ইউক্রেনের অনুরোধ মেনে রাশিয়াকে আগ বাড়িয়ে কোনও পরামর্শ নয়াদিল্লি দিতে যাবে না বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। এই পরিস্থিতিতে এদিন ফোনে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে কী কথা হয়, তার দিকে তাকিয়ে বিশ্ব।