সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুকুল রায়ের বিজেপি ত্যাগের দিনই দিল্লিতে বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda) এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সূত্রের খবর, শীঘ্রই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় বড়সড় রদবদল করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। সম্ভবত সেকারণেই, শাহ-নাড্ডাদের সঙ্গে আলোচনা সেরে নিচ্ছেন তিনি। তবে, এদিনের বৈঠকে উত্তরপ্রদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়েও রণকৌশল তৈরি করতে পারে গেরুয়া শিবির। মুকুল রায়ের (Mukul Roy) দলত্যাগ প্রসঙ্গও উঠে আসতে পারে আলোচনায়।
দ্বিতীয় মোদি সরকার গঠনের পর থেকে একবারও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় রদবদল করা হয়নি। অথচ, এই মুহূর্তে গেরুয়া শিবিরের বহু নেতা কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্বের আশায় বসে আছেন। আবার মন্ত্রিসভার অনেক সদস্যই একসঙ্গে একাধিক মন্ত্রক সামলাচ্ছেন। গেরুয়া শিবির সূত্রের খবর, এই পরস্থিতির বদল চাইছে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। খুব শীঘ্রই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় রদবদল হতে পারে। বেশ কিছু নতুন মুখ মন্ত্রিসভায় আনা হতে পারে। বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদির (Sushil Modi) কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়া নিয়ে জল্পনা অনেক দিনের। এবছর তাঁকে উপমুখ্যমন্ত্রী করা হয়নি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করার প্রতিশ্রুতি দিয়েই। একইভাবে অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়ালকেও কেন্দ্রে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলে দীর্ঘদিন ধরে জল্পনা শোনা যাচ্ছে। একই জল্পনা শোনা যাচ্ছে মধ্যপ্রদেশের প্রভাবশালী নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে নিয়েও। আবার বাংলার কর্মীদের মনোবল বাড়াতে আরও কাউকে মন্ত্রী করা হতে পারে বলে একটা জল্পনা গেরুয়া শিবিরের অন্দরে রয়েছে। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিজেপি সভাপতির বৈঠকে এসব নিয়েই আলোচনা হবে।
[আরও পড়ুন: তৃণমূলের যুব সংঠনে বড় পদ পেতে পারেন শুভ্রাংশু, উপনির্বাচনে প্রার্থী হওয়া নিয়েও জল্পনা]
এছাড়াও, আলোচনা হতে পারে উত্তরপ্রদেশ নিয়ে। আগামী বছরই সেরাজ্যে নির্বাচন। এবছর পঞ্চায়েত নির্বাচনে খারাপ ফলের পর যোগীরাজ্য নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। শুক্রবারই দিল্লিতে গিয়ে নাড্ডা, শাহ এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এসেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তারপরই মোদি-শাহদের (Amit Shah ) এই বৈঠক বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। ঘটনাচক্রে শুক্রবারই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন মুকুল রায়। এদিনের বৈঠকে তাঁর প্রসঙ্গ উঠবে কিনা, সেটাই এখন দেখার।