সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিধানসভা নির্বাচনের আঁচে ফুটছে পশ্চিমবঙ্গ। প্রায় ‘নেই’ থেকেই অমিত বিক্রমে ক্ষমতার দাবিদার হয়ে উঠেছে বিজেপি। এহেন সময়ে শনিবার খড়্গপুরে জনসভায় বক্তব্য রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। ভাষণের শুরুতেই মহিষাসুরমর্দিনী থেকে মাতঙ্গিনী হাজরার প্রসঙ্গ টেনে বিজেপির রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: ‘দিদির পাঠশালায় সিলেবাস তোলাবাজি, কাটমানি’, বাংলায় আক্রমণ শানালেন মোদি]
এদিন জনসভায় দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি গর্বিত আমাদের কাছে দিলীপ ঘোষের মতো নেতা রয়েছে। তাঁকে খুনের চক্রান্ত হয়েছে। তবুও দিদির হুমকির সামনে মাথা নত করেননি তিনি। লাগাতার কাজ করে গিয়েছেন তিনি। মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছেন দিলীপ ঘোষ।” খড়গপুরের জনসভায় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলার উন্নয়ন ডাউন হয়ে গিয়েছে। দিদির পার্টি নির্মমতার পাঠশালা। দিদির পাঠশালায় সিলেবাস কাটমানি। উন্নয়নের সব প্রকল্পের সামনে মমতা দেওয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছেন। ১০ বছরে কুশাসন দিয়েছেন মমতা। আমরা বাংলায় আসল পরিবর্তন আনব। একবার আশীর্বাদ দিন, উন্নয়নের জন্য প্রাণ দিয়ে দেব। ৭০ বছর অনেককে সুযোগ দিয়েছেন। এবার আমাদের সুযোগ দিন। আজ বাংলার কৃষক জানতে চাইছে, তাঁর কিষান সম্মাননিধির টাকা পেলেন না কেন? সেই টাকা কোথায়? আমি বাংলার ভবিষ্যতের সঙ্গে আর খেলতে দেব না।”
এদিনের সভায় মমতা সরকারকে বিঁধে দিলীপ ঘোষ বলেন, “যাঁরা বলেছিলেন খেলা হবে, তাঁরা পা ভেঙে মাঠের বাইরে। খেলা হবে না, খেলা শেষ হয়ে গিয়েছে।” এদিকে, নির্বাচনের আগে দিলীপকে নিয়ে মোদির দরাজ প্রশংসা জল্পনা তৈরি করেছে। বিশ্লেষকদের মতে, জনসভায় দিলীপের প্রসঙ্গ তুলে দলের পুরনো কর্মীদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ‘দলবদলু’দের (পড়ুন তৃণমূলত্যাগী) জায়গা দিলেও ‘ঘরের মানুষ’দের স্থান নিশ্চিত সেই কথাই বুঝিয়ে দিলেন মোদি। এছাড়া, যদি রাজ্যে গেরুয়া শিবির ক্ষমতায় আসে তাহলে দিলীপ ঘোষকে কী কোনও আসন থকে জিতিয়ে মুখ্যমন্ত্রী করা হবে? সেই প্রশ্নও ইঙ্গিতে তুলে দিলেন নমো। বলে রাখা ভাল, টিকিট বিতরণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন দলের বিক্ষুব্ধদের জায়গা দেওয়া নিয়ে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে যথেষ্ট ক্ষোভ রয়েছে। ফলে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলতে তৎপর হয়েছে দলের কোর কমিটি।