সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোহিত সাগরে বাজছে যুদ্ধের দামামা। হাউথিদের মিসাইলে বিপন্ন বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত বাণিজ্যপথ। এই প্রেক্ষাপটে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
সোমবার এক্স হ্যান্ডেলে ফোনালাপের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (Narendra Modi)। তিনি লিখেছেন, ‘রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে খুব ভালো কথা হয়েছে। আমাদের বিশেষ কৌশলগত সম্পর্ক নিয়ে সদর্থক আলোচনা হয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে আরও উদ্যোগী হয়ে ওঠার জন্য দুদেশের সহযোগিতা নিয়ে কৌশলগত কথাবার্তাও হয়েছে। ভবিষ্যতে বিশেষ কিছু উদ্যোগ নেওয়ার ক্ষেত্রে একটি নকশা তৈরি করা নিয়েও আমরা একমত হয়েছি। বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সমস্যাগুলো নিয়ে নিজেদের মত বিনিময় করেছি। রাশিয়ার নেতৃত্বে এই বছর ব্রিকস সম্মেলন আয়োজিত হচ্ছে। এনিয়েও আমাদের মধ্যে কথা হয়েছে।’ তবে কোন কোন বিষয় দুই রাষ্ট্রনেতার আলোচনায় প্রাধান্য পেয়েছে তা এখনও স্পষ্টভাবে জানা যায়নি।
এই প্রেক্ষিতে বিশ্লেষকদের ধারণা, মোদি ও পুতিনের মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, হামাস বনাম ইজরায়েল সংঘাত ও লোহিত সাগরের উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়েও কথা হতে পারে। এই মুহূর্তে লোহিত সাগরে বাণিজ্যতরীগুলোতে একের পর এক হামলা চালাচ্ছে ইরানের মদতপুষ্ট ইয়েমেনের হাউথি জঙ্গিগোষ্ঠী। ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে ভারতের পণ্যবাহী জাহাজেও। হাউথিদের এই হামলার জেরে ভারতে তেলের দাম বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে এনিয়ে অস্থির পশ্চিমী দুনিয়ার একাংশ। কিন্তু ভারতের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক যথেষ্ট ভালো। অন্যদিকে রাশিয়ার (Russia) সঙ্গেও সুসম্পর্ক রয়েছে ইরানের। ফলে এই পরিস্থিতি নিয়ে কোনও সমাধানের পথ বের করার জন্যও কথা হতে পারে তাঁদের মধ্যে।
উল্লেখ্য, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের পর থেকেই লোহিত সাগরে (Red Sea) হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে। ইরানের মদতপুষ্ট হাউথিদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, গাজায় প্যালেস্তিনীয়দের সমর্থনে এই হামলা চালানো হচ্ছে। ইজরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে হামাসের পক্ষে রয়েছে তারা। যতদিন না গাজায় যুদ্ধ থামাচ্ছে ইজরায়েল ততদিন হামলা চলতে থাকবে। বেছে বেছে ইজরায়েলপন্থী দেশগুলোর জাহাজে হামলার ঘটনা তাৎপর্যপূর্ণ। এদিকে, শুক্রবারই হাউথির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছে আমেরিকা। মার্কিন হামলায় ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে হাউথিদের এক রাডার স্টেশন।