প্রণব সরকার, আগরতলা: তৃতীয়বার প্রচারে এসে বাম-কংগ্রেস জোটকে তীব্র আক্রমণ করলেও ত্রিপুরায় (TMC) তৃণমূলকে নিয়ে একটি শব্দও খরচ করলেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গোটা বক্তৃতা জুড়ে বাম-কংগ্রেস জোটের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, সিপিএম- কংগ্রেস ক্ষমতা লাভের জন্য সব কিছু করতে প্রস্তুত ।
সোমবার ত্রিপুরার (Tripura) স্বামী বিবেকান্দ ময়দানে বিজয় সংকল্প জনসভার অংশ গ্রহণ করেন মোদি। সেখান থেকে তাঁর কটাক্ষ, “কমিউনিস্টরা অসংখ্য কংগ্রেস কর্মীকে হত্যা করেছে, এখন তারাই আবার জোট করছে। ত্রিপুরাবাসীকে তাঁদের থেকে সাবধান থাকতে হবে।” প্রধানমন্ত্রী আরও সংযোজন, “বামপন্থী সরকার নিজেদেরকে বাদশাহ আর ত্রিপুরাবাসীকে গোলাম মনে করতেন। সিপিএম সরকার ত্রিপুরাকে বিনাশের দিকে নিয়ে গিয়েছে। তাঁরা চাঁদা একত্র করা ছাড়া আর কিছুই করেননি। গরিবের রেশন লুট করে নিয়ে নিতেন। তাই ৫ বছর আগে ত্রিপুরার জনগণ বাম সরকারকে রেড সিগন্যাল দেখিয়ে দিয়েছে।”
[আরও পড়ুন: WPL নিলাম Live Update: রেকর্ড অঙ্কে RCB-তে যোগ স্মৃতির, হরমনপ্রীতের চেয়েও বেশি দাম রিচার]
বিজেপির কাজের খতিয়ান তুলে ধরে মোদির দাবি, গত ৫ বছর ধরে উন্নয়নের কাজ করে গিয়েছে। এবার নির্বাচনে পুনরায় ডবল ইঞ্জিন সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে আগামী দিনে বিকাশ সম্ভব হবে বলে জানান মোদি। প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ,কংগ্রেস-সিপিএমের সরকার চেয়েছে ত্রিপুরাবাসী গরিব হয়ে থাকুক। দিল্লিতে সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা পাঠালে বামপন্থীরা ত্রিপুরার গরিবকে ঘর দিতেন না। ত্রিপুরায় বাম-কংগ্রেস জোটকেও এদিন কটাক্ষ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “কমিউনিস্টরা অসংখ্য কংগ্রেস কর্মীকে হত্যা করেছে, এখন তারা জোট করছে। সিপিএম- কংগ্রেস ক্ষমতা লাভের জন্য সব কিছু করতে রাজি।” তবে নিজের দীর্ঘ বক্তৃতায় বাম-কংগ্রেসকে নিশানা করলেও তৃণমূল নিয়ে চুপ থাকলেন প্রধানমন্ত্রী।