সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত ও রাশিয়া সুসম্পর্কের কথা অজানা নয় বিশ্বের কাছে। সামরিক, প্রতিরক্ষা, প্রযুক্তি নানা ক্ষেত্রে দুদেশের সহযোগিতা দিন দিন আরও মজবুত হচ্ছে। ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝেই গত জুলাই মাসে রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার ৩ মাসের ব্যবধানে ফের বন্ধু ভ্লাদিমির পুতিনের দেশে যাচ্ছেন নমো। সেখানে ব্রিকস সামিটে যোগ দেবেন তিনি। মনে করা হচ্ছে, চলমান যুদ্ধ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করতে পারেন মোদি-পুতিন। আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনেও উঠতে পারে রাশিয়া-ইউক্রেনের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের প্রসঙ্গ। ফলে মোদির সফর ও ব্রিকস সামিটের উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছে ইউক্রেনও।
ভারত, চিন, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা ও রাশিয়াকে নিয়ে তৈরি হয়েছে ব্রিকস গোষ্ঠী। প্রত্যেক বছর ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কোনও না কোনও সদস্য দেশ ব্রিকস সম্মেলনের আয়োজন করে। গত বছরের আগস্ট মাসে এই সামিটের আসর বসেছিল দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে। এবছর ১৬তম ব্রিকস সামিটের আয়োজক দেশ রাশিয়া। ২২ থেকে ২৩ অক্টোবর কাজানে হবে এই সম্মেলন। আগামী সপ্তাহে সেখানেই যোগ দেবেন মোদি। ফলে একবার তিনি মুখোমুখী হবেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে। প্রসঙ্গত, গত বছর ভারচুয়ালি ব্রিকসে অংশ নিয়েছিলেন পুতিন।
আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়, নিরাপত্তা ও বিশ্বশান্তি নিয়ে প্রত্যেক বছর আলোচনা হয় ব্রিকস সামিটে। এবছর ব্রিকসের থিম 'বৈশ্বিক উন্নয়ন, বহুত্ববাদ ও সামগ্রিক নিরাপত্তা'। প্রধানমন্ত্রী মোদির সম্মেলনে যোগ দেওয়ার বিষয়টি জানিয়ে বিদেশমন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে বলে, 'ব্রিকস গোষ্ঠীর নেওয়া উদ্যোগগুলোর অগ্রগতি মূল্যায়ন করা হবে এই সম্মেলনে। ভবিষ্যতে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য মূল্যবান আলোচনা হবে এখানে।' তবে এই সম্মেলনের ফাঁকে পুতিনের সঙ্গে মোদি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন কিনা তা নিয়ে এখনও কিছু জানায়নি বিদেশমন্ত্রক।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের পর ২০২৩ সালে প্রথমবার সম্প্রসারণ ঘটে ব্রিকসে। প্রত্যেকটি সদস্য দেশ সম্মতি দেয়, নতুন রাষ্ট্রকে এই জোটে অন্তর্ভুক্ত করতে। সেই মতোই গত বছর আর্জেন্টিনা, ইরান, সৌদি আরব, মিশর, ইথিওপিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহীকে নতুন সদস্য হিসাবে স্বাগত জানানো হয় ব্রিকসে। ফলে এবছরও কোনও দেশ এই জোটে জায়গা পায় কিনা সেদিকেই নজর ওয়াকিবহাল মহলের।