সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একপ্রকার আচমকাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রধান উপদেষ্টার পদ থেকে ইস্তফা দিলেন প্রদীপ কুমার সিনহা। গত প্রায় দেড় বছর মোদির (Narendra Modi) প্রধান পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করছিলেন সিনহা। প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত আস্থাভাজন ছিলেন এই আমলা। হঠাত তাঁর পদত্যাগের কারণ নিয়ে জল্পনা চলছে সাউথ ব্লকে। পদত্যাগের সঠিক কারণ এখনও পর্যন্ত জানা না গেলেও, ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়েই তিনি ইস্তফা দিয়েছেন বলে খবর।
পিকে সিনহার (PK Sinha) ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, ১৫ মার্চ তিনি কাজ থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন। মূলত নিজের ভগ্ন স্বাস্থ্যের জন্যই কাজ থেকে বিরতি চাইছেন তিনি। আবার একটা মহলের দাবি, সিনহাকে এরপর কোনও প্রশাসনিক পদে বসাতে পারেন মোদি। সেক্ষেত্রে কোনও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের উপরাজ্যপাল পদ দেওয়া হতে পারে তাঁকে। আরেকটি সূত্র আবার বলছেন, গত এক দেড় বছরে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে একাধিক পরিবর্তন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর একাধিক ঘনিষ্ঠ আমলার পদ পরিবর্তন হয়েছে। পিকে সিনহার ইস্তফাও সেই পরিবর্তনেরই অংশ।
[আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন নেওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই করোনায় আক্রান্ত গুজরাটের মন্ত্রী]
২০১৯-এর আগে প্রধানমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা বলে কোনও পদ ছিল না। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই এই পদ তৈরি করেন। আসলে ২০১৯ সালেই আমলা হিসেবে পিকে সিনহার মেয়াদ শেষ হয়েছিল। তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে রেখে দেওয়ার জন্যই এই পদ তৈরি করা হয় বলে ওয়াকিবহাল মহলের দাবি। প্রধানমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টার মেয়াদও রাখা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীরই সমান। কিন্তু এই পদের কোনও পদমর্যাদা ছিল না। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল (Ajit Doval) যেখানে ক্যাবিনেট মন্ত্রীর পদমর্যাদা পান, সেখানে পিকে সিনহা তেমন কোনও পদমর্যাদা পেতেন না।
[আরও পড়ুন: প্রতিপক্ষের মিসাইল হামলা ব্যর্থ করতে নৌসেনার হাতে আসছে ‘ধ্রুব’]
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের আমলাদের মধ্যে সিনহা অন্যতম অভিজ্ঞ একজন। চার বছরের বেশি সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সচিব ছিলেন তিনি। তিন তিন বার তাঁর মেয়াদ বাড়ানো হয়। আর কোনও আমলার ক্ষেত্রে যা আগে ঘটেনি। এর আগে কংগ্রেস আমলেও সচিব ছিলেন। ২০১৯ সালে তাঁর অবসরের পর প্রধানমন্ত্রী তাঁকে নিজের উপদেষ্টা করেন।