শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: স্কুলের সংখ্যালঘু স্কলারশিপ ও প্রতিবন্ধী কোটার টাকা তছরূপের অভিযোগে গ্রেপ্তারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) করণদিঘিতে। গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে করণদিঘি থানায় হামলা চালায় স্থানীয়রা। আক্রমণ করা হয় পুলিশ আধিকারিকদের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা।
সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের স্কলারশিপের টাকা তছরূপের ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল করণদিঘির সাবধান হাই স্কুলের। বহুদিন ধরে চলছিল তদন্ত। কিছুদিন আগেই এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মেহতাবউদ্দিন নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই প্রকাশ্যে আসে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই সাবধান হাই স্কুলের প্যারাটিচার মহম্মদ তাহসানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ওই স্কুলের সংখ্যালঘু স্কলারশিপের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ভুয়ো পড়ুয়াদের তথ্য জমা দিয়ে টাকা তছরূপ করেছেন তিনি। পড়ুয়াদের নামে টাকা তছরূপের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন করণদিঘির রাঘবপুর হাই স্কুলের এক শিক্ষা কর্মী সাকিব আলিও। জানা গিয়েছে, ভুয়ো ৩৯ জনের নাম পাঠিয়ে প্রতিবন্ধী কোটার টাকা আত্মসাৎ করেছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: Weather Update: নিম্নচাপের বৃষ্টি থেকে কবে মিলবে রেহাই? জেনে নিন কী বলছে হাওয়া অফিস]
বিষয়টি জানাজানি হতেই মঙ্গলবার রাতে মহম্মদ তাহসান ও সাকিব আলিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে দীর্ঘক্ষণ চলে বিক্ষোভ। করণদিঘি থানায় হামলা করা হয়। জখম হন আইসি সৌম্যজিৎ রায়-সহ ৯ জন। এই ঘটনায় ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে ধৃতদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা করা হয়েছে। বুধবারই তাঁদের ইসলামপুর আদালতে তোলা হতে পারে। এবিষয়ে পুলিশ সুপার সুমিত কুমার বলেন, “ধৃতরা সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীদের স্কলারশিপের টাকা তছরূপ করেছে। নিদিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। তদন্ত চলছে।”