shono
Advertisement

CBI আধিকারিক সেজে তোলাবাজির অভিযোগ, অবশেষে শিলিগুড়ি থেকে গ্রেপ্তার সাংবাদিক

ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার আরও ৬।
Posted: 04:41 PM May 27, 2021Updated: 06:50 PM May 27, 2021

অর্ণব আইচ: সিবিআই (CBI) আধিকারিক সেজে, ভয় দেখিয়ে তোলা আদায় এবং অপহরণের মতো অপরাধমূলক কাণ্ডে জড়িত সন্দেহে অবশেষে গ্রেপ্তার সাংবাদিক অভিষেক সেনগুপ্ত (Abhishek Sengupta) বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি থেকে তাকে এবং তার ঘনিষ্ঠ স্বরূপ ঘোষকে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা পুলিশ। ট্রানজিট রিমান্ডে তাদের নিয়ে আসা হচ্ছে। এই ঘটনায় এ নিয়ে মোট ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।  

Advertisement

এদিন সকালের দিকে একই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৫ জনকে গ্রেপ্তার (Arrest) করে কসবা থানার পুলিশ। ধৃত দক্ষিণ ২৪ পরগনার রাজপুরের বাসিন্দা অর্ঘ্য সেনগুপ্ত, নেতাজি নগরের অনির্বাণ কাঞ্জিলাল এবং রাজু মণ্ডল, উত্তর ২৪ পরগনার শাসনের জুলফিকার আলি এবং আসরফ আলি। এই চক্রের সঙ্গে জড়িত আরও বেশ কয়েকজন ফেরার। তাদের খোঁজ পেতে তৎপর পুলিশ। এই পাঁচজনকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আজ আদালতে পেশ করা হয়।

[আরও পডুন: করোনা আবহে রাজ্যের কঠোর বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও বাড়ল, বেশ কিছু ছাড় শিল্পক্ষেত্রে

এর আগে, বুধবারই সিবিআইয়ের ভুয়ো পরিচয় দিয়ে ব্যবসায়ীর থেকে তোলা আদায়ের অভিযোগে বাংলার এক জনপ্রিয় চ্যানেলের সাংবাদিক অভিষেক সেনগুপ্তর নাম প্রকাশ্য়ে এসেছিল। এরপর ওই সাংবাদিককে সাসপেন্ড (Suspend) করেছে চ্যানেল। তাদের তরফে টুইট করে সাসপেনশনের খবর জানানো হয় এবং তিনি যে চ্যানেলের স্থায়ী কর্মী ছিলেন না, তাও প্রকাশ করা হয়েছে। এহেন অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যাতে চ্যানেলকে জড়িয়ে ফেলা না হয়, সেই তাগিদেই তাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট বলে মত অনেকের। সূত্রের খবর, গ্রেপ্তারি এড়াতে অভিষেক তার সঙ্গী স্বরূপকে নিয়ে পালিয়েছিল। তবে শেষরক্ষা হয়নি। বৃহস্পতিবার বিকেলে শিলিগুড়ি থেকে তাকে ও তার সঙ্গীকে পুলিশের হাতে ধরা পড়তেই হয়।

[আরও পডুন: ‘যশে’র দাপটে প্রায় তছনছ দিঘার মেরিন ড্রাইভ, সেচ দপ্তরের কাজে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী]

তার আগে অবশ্য বৃহস্পতিবার, দক্ষিণ শহরতলি এলাকা থেকে একে একে মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এঁদের মধ্যে ধৃত রাজপুর, হরিহরতলা থেকে ধৃত অর্ঘ্য সেনগুপ্ত নামের বছর একচল্লিশের ব্যক্তি ওই জনপ্রিয় বাংলা সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকের আত্মীয় বলে প্রাথমিক ধারণা পুলিশের। বাকিরাও নানাভাবে এই চক্রের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত বলে মনে করছেন পুলিশ। তাঁদের ধারণা, এর পিছনে খুব বড়সড় কোনও চক্র সক্রিয় রয়েছে। সেই চক্রের জাল দ্রুত ছিঁড়ে ফেলতে মরিয়া সিবিআই, পুলিশ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement