রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও বিয়েতে আপত্তি। বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় খুন করা হয় তরুণীকে। মন্দারমণির চাঁদপুরে তরুণীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় বিস্ফোরক তথ্য পেল পুলিশ। এই ঘটনায় দমদম থেকে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নিহত লাবণী দাস, নদিয়ার তাহেরপুরের বাসিন্দা। তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তাঁর দিদির বিয়ে হয় বারাকপুরে। দিদির বিয়ের পরই তাঁর দেওর প্রলয় দাসের সঙ্গে প্রেমের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন লাবণী। পরে প্রলয় কলকাতায় ক্যাব চালানোর কাজে যোগ দেয়। দমদমে একটি ঘরভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করে। এদিকে, লাবণী প্রতি শুক্রবার বিউটি পার্লারের কাজ শিখতে যাওয়ার নাম করে দমদমে প্রলয়ের ভাড়া বাড়িতে যাতায়াত করতেন।
[আরও পড়ুন: ভারতের পর এবার ট্রুডোর নিশানায় রাশিয়া! কী চাইছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী?]
তবে প্রলয় ফের একটি প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। তার আঁচও পান লাবণী। বিয়ে করার জন্য প্রলয়কে চাপ দিতে শুরু করেন লাবণী। তা নিয়ে দুইজনের মধ্যে ঝগড়াঝাটি চলছিল। তাই লাবণীকে মন্দারমণি নিয়ে যায় প্রলয়। সেখানে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় তাঁকে। প্রমাণ লোপাটের জন্য চাঁদপুর মেরিন ড্রাইভের পাশে বোল্ডারের উপর দেহ ফেলে দেওয়া হয়। প্রলয়কে এই কাজে সাহায্য করে তার বন্ধু মনোজ গোস্বামী। তাকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তবে মন্দারমণি লাগোয়া সৈকতকে কেন বেছে নিল অভিযুক্তরা? পুলিশ সূত্রে খবর, প্রলয়ের আরেক বন্ধু তাপস জানা মন্দারমণি উপকূল লাগোয়া এলাকার বাসিন্দা। সে-ও পেশায় ক্যাবচালক। তারই বুদ্ধিতেই খুনের পর সমুদ্রের পাড়ে দেহ ফেলার পরিকল্পনা করে প্রলয়। এই ঘটনার পর থেকে ফেরার তাপস। তার খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। ডিএসপি ডিএনটি রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, “খুনের ঘটনায় দুইজনকে দমদম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করলে বিস্তারিত তথ্য সামনে আসবে।” ধৃতদের বৃহস্পতিবার কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হবে।