শ্রীকান্ত পাত্র, ঘাটাল: বড়দিনে পিকনিক (Picnic) করতে গিয়ে ডিজে বাজিয়ে উদ্দাম নাচ ও মদ্যপান, সেইসঙ্গে মহিলাদের সঙ্গে অশালীন আচরণ। এমনই অভিযোগ পেয়ে ‘বেপরোয়া’ যুবকদের থামাতে অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ। যুবকদের অভব্যতা বন্ধ করা দূর অস্ত্র, পুলিশকেই উলটে হামলার মুখে পড়তে হল। ইটের টুকরো, লাঠি দিয়ে আক্রমণের অভিযোগ উঠল মদ্যপ যুবকদের বিরুদ্ধে। ভাঙচুর চলল পুলিশের গাড়িতে। তিন পুলিশকর্মী জখম হয়ে ভরতি হাসপাতালে। পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Midnapore) ক্ষীরপাইয়ের ঘটনায় পিকনিকের পরিবেশই নষ্ট হয়ে গেল মনে করছেন বাসিন্দারা।
রবিবার বড়দিন উপলক্ষে পশ্চিম মেদিনীপুরের অন্যতম জনপ্রিয় পিকনিক স্পট বড়মা কালী মন্দির চত্বরে ভিড় হয়েছিল বেশ। বেশ কয়েকটি দল পিকনিকে গিয়েছিল। তার মধ্যে একটি দল রীতিমতো উচ্ছৃঙ্খল হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ। বিকেলের দিকে তাঁরা ডিজে (DJ) বাজিয়ে উদ্দাম নাচ করতে থাকেন। সেইসঙ্গে চলে দেদার মদ্যপানও। আর মদ্যপ কয়েকজন যুবক পিকনিক করতে যাওয়া মহিলাদের উদ্দেশে অশালীন আচরণ করতে থাকেন বলে অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: ব্রুসোলোসিসে মৃত্যু রোগীর! পরিবারের দাবি মানতে নারাজ কলকাতার হাসপাতাল, তুঙ্গে তরজা]
এই খবর পেয়ে ক্ষীরপাই ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। নেতৃত্বে ছিলেন এএসআই (ASI) পঙ্কজ দে। ছিলেন আরও ৭ পুলিশকর্মী। জানা গিয়েছে, পুলিশ গিয়ে ওই যুবকদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের বোঝায়, মদ্যপান করতে বারণ করে। তা শুনেই খেপে যান তাঁরা। পুলিশের দিকে তেড়ে যান। ইটের টুকরো, লাঠি নিয়ে মারধর শুরু হয়। জখম হন এএসআই-সহ ৩ পুলিশকর্মী। গাড়িতেও চলে ভাঙচুর। তাঁদের পায়ে চোট লাগে। ক্ষীরপাই গ্রামীণ হাসপাতালে ভরতি করা হয়।
পরিস্থিতি এতটা উত্তপ্ত হয়ে উঠলে চন্দ্রকোণা (Chandrokona) থানায় খবর পৌঁছয়। সেখান থেকে এসআইয়ের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী পিকনিক স্পটে যান। যুবকরা ততক্ষণে পলাতক। আর তাঁদের সংঘর্ষের মাঝে পড়ে জখম ২ স্থানীয় বাসিন্দাও। পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে একজনকে আটক করা হয়। বড়দিনে পিকনিকে গিয়ে এহেন ঘটনায় অত্যন্ত বিরক্ত স্থানীয় মানুষজন। তাঁদের অভিযোগ, নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও পিকনিকে ডিজে বাজানো, মদ্যপান চলছেই। ফলে আনন্দে মেতে ওঠার বদলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তাঁরা।