শুভদীপ রায়নন্দী, শিলিগুড়ি: বিজেপির (BJP) উত্তরকন্যা অভিযানকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল শিলিগুড়ি। ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করতেই তিনবাত্তি মোড়ে পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপির কর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ময়দানে নামে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
সোমবার বেলা একটু বাড়তেই বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা জড়ো হন উত্তরকন্যা অভিযানে (Uttarkanya Abhijaan)অংশ নিতে। শিলিগুড়ির ফুলবাড়ি মোড় থেকে মিছিলের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন দিলীপ ঘোষ, সায়ন্তন বসু। বাকি দুটি মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও মুকুল রায়। বেলা ২ টো নাগাদ শিলিগুড়ির তিনবাত্তি মোড়ে আচমকা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন যুব মোর্চার কর্মীরা। পুলিশ-বিজেপি কর্মী ধস্তাধস্তিতে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয় এলাকায়। তিনবাত্তি মোড়ের কাছে রাস্তায় বসে পড়েন যুব মোর্চার কর্মীরা। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে পুলিশের তরফে ঘোষণা করা হয়, ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে। জমায়েতকে ছত্রভঙ্গ হওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেনি বিজেপির যুব মোর্চা।
[আরও পড়ুন: সরডিহা স্টেশনে দাঁড়াল না স্টিল এক্সপ্রেস, প্রতিবাদে রেল অবরোধ নিত্যযাত্রীদের]
এরপরই বিক্ষোভকারীদের হটাতে প্রথমে টিয়ার গ্যাস ছোঁড়ে পুলিশ। পালটা ইট বৃষ্টি করে বিজেপির কর্মীরা। জলকামান ব্যবহার করেও বিক্ষোভকারীদের হটানোর চেষ্টা করে পুলিশ। পুলিশ-বিজেপি সংঘর্ষে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। জখম হন বেশ কয়েকজন সাংবাদিক ও বিজেপি কর্মী, পুলিশ। এরপর ফের নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। ময়দানে নামে মহিলা মোর্চার কর্মীরা। খুলে দেন ব্যারিকেডের দড়ি। সেই সময় ফের জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। ফাটানো হয় টিয়ার গ্যাসের সেল। জলের মুখে পিছু হটে বিজেপি কর্মীরা। এই পরিস্থিতিতে রণক্ষেত্র তিনবাত্তি মোড়ে পৌঁছয় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মিছিল। যদিও তাঁদের প্রতিহত করতে প্রস্তুত ছিল পুলিশ। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে পুলিশ-বিজেপির এই লড়াই। ব্যারিকেডের সামনে আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়। এদিনের এই কাঁদানে গ্যাসে কৈলাস বিজয়বর্গীয় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে খবর। একজনের মৃত্যু হয়েছে বলও জানা গিয়েছে।
দেখুন ভিডিও: