সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জীবনে প্রথমবার গ্রেপ্তার করেছিলেন। তার পরের দিনই উদ্ধার হল পুলিশ আধিকারিকের মৃতদেহ। তার সঙ্গেই মিলল গ্রেপ্তার হওয়া মহিলার দেহও। নদীতে ডুবে যাওয়া অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে পুলিশের গাড়িটিও।
চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে আমেরিকার (USA) টেনেসিতে। জানা গিয়েছে, মৃত পুলিশ আধিকারিকের নাম রবার্ট জন লিওনার্ড। দীর্ঘদিন ধরে অধস্তন কর্মী হিসাবে কাজ করার পরে সম্প্রতি অফিসার পদে উন্নীত হয়েছিলেন। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ পেয়ে ছুটে গিয়েছিলেন একটি সেতুতে। সেখানে এক ব্যক্তির সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন এক মহিলা। তাঁকেই গ্রেপ্তার করেন রবার্ট।
[আরও পড়ুন: জেলে নাভালনির মৃত্যুর জের, রাশিয়ার উপরে বাড়তি নিষেধাজ্ঞা আমেরিকার]
দীর্ঘ চাকরিজীবনে ‘প্রথম অ্যারেস্ট’। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেই স্ত্রীকে মেসেজ করে সুখবর দিতে চেয়েছিলেন রবার্ট। কিন্তু সেই মেসেজ আর পৌঁছয়নি। তার আগেই রবার্টের মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশের অনুমান। জানা গিয়েছে, রবার্টের ফোন থেকে ‘ওয়াটার’ বলে একটি মেসেজ এসেছিল। তাতে সন্দেহ হওয়ায় রবার্টের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়। খোঁজ না মেলায় কাজে লাগানো হয় স্যাটেলাইট ট্র্যাকিং।
পরের দিন নদীর ধার থেকে উদ্ধার হয় রবার্টের দেহ। টেনেসির পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত মহিলা টাবিথা স্মিথের দেহও মিলেছে পাশেই। কিন্তু গাড়ির মধ্যেই ছিল টাবিথার দেহ। প্রশ্ন উঠছে, পুলিশের গাড়ি কী করে নদীর ধারে গেল? প্রসঙ্গত, ডিসেম্বর মাসে পুলিশ অফিসার হিসাবে কাজ শুরু করেছিলেন রবার্ট। তাঁর এই পরিণতিতে শোকস্তব্ধ স্ত্রী ও পাঁচ সন্তান। গোটা ঘটনায় আতঙ্কিত স্থানীয় প্রশাসনও।