নিরুফা খাতুন: রিজেন্ট পার্কে বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার হওয়া দেহটি এক নাবালিকার। সে সরশুনার বাসিন্দা। তদন্তে এমনই তথ্য পেল পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ওই নাবালিকা লিভ ইন করত। তার লিভ ইন পার্টনার এই ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে।
গত ২৩ জুলাই, দক্ষিণ কলকাতার রিজেন্ট পার্কের খালে ভেসে আসে একটি বস্তাবন্দি দেহ। দেহ উদ্ধারের পর পাঠানো হয় ময়নাতদন্তে। ওই রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য পায় পুলিশ। তবে তার নাম, পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল। প্রায় ছদিন পর তার নাম, পরিচয় জানতে পারলেন তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, ওই দেহটি এক নাবালিকার। দেহ উদ্ধারের সময় পেটে প্রচুর জল ও কাদা পাওয়া যায়। ময়নাতদন্তে চিকিৎসকরা নিশ্চিত হন যে, জীবন্ত অবস্থায় জলে ডুবেই মৃত্যু হয়েছে। ফলে যখন বস্তাবন্দি করা হয়, তখনও নাবালিকা জীবিত ছিল, তা-ও পুলিশকে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। নাবালিকার হাতে বেশ কয়েকটি জায়গায় সূঁচ ফোটানোর চিহ্নও পাওয়া যায়।
[আরও পড়ুন: ‘ছেলে অপরিণত’, অধীরের বদলে প্রদেশ সভাপতি পদে ইশাকে ‘চান না’ ডালুবাবু]
প্রথম থেকেই পুলিশ মনে করছে, ওই নাবালিকা মাদক নিত। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে মিলেছে ড্রাগের নমুনা। পুলিশের অনুমান, অতিরিক্ত মাদক সেবনের ফলে অচৈতন্য হয়ে পড়ে নাবালিকা। এর পর জীবন্ত অবস্থা তাকে বস্তাবন্দি করে খালের জলে ফেলে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় পুলিশের সন্দেহের স্ক্যানারে নাবালিকার লিভ ইন পার্টনার। তবে অনেকে এই ঘটনায় যুক্ত থাকতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত এখনও চলছে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।