সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাই কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও নিজেদের অবস্থানে অনড় ২০১৪ সালের টেট প্রার্থীরা। এদিকে আদালতের নির্দেশ মেনে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে করুণাময়ী পুলিশে ছয়লাপ। বারবার মাইকিং করে আন্দোলনকারীদের সরে যাওয়ার আবেদন করছেন আধিকারিকরা। পালটা স্লোগান তুলেছেন আন্দোলনকারীরা। সবমিলিয়ে উত্তপ্ত করুণাময়ী।
চাকরির দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে করুণাময়ীতে এপিসি ভবনের সামনে আমরণ অনশন শুরু করেছেন ২০১৪ সালের টেট প্রার্থীরা। ধরনায় বিরোধিতায় বৃহস্পতিবারও আদালতে যায় পর্ষদ। হাই কোর্টের তরফে বলা হয়, প্রাথমিক পর্ষদের সামনে টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের ১৪৪ ধারা মানতে হবে। প্রয়োজনীয় পুলিশ দিয়ে কর্মীদের পর্ষদের অফিসে ঢোকা-বেরনোর ব্যবস্থা করতে হবে। বিধাননগরের সিপিকে এমনই নির্দেশ দেন বিচারপতির। ৪ নভেম্বর পর্যন্ত এই ব্যবস্থা বলবৎ থাকবে। তারপরে রেগুলার বেঞ্চ এই মামলা শুনবে। অর্থাৎ অবিলম্বে সরে যেতে হবে আন্দোলনকারীদের।
[আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের রায় শিরোধার্য, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্বে আপাতত সহ-উপাচার্য]
হাই কোর্টে এই নির্দেশ দেওয়ার পরই বৃহস্পতিবার বিকেলে করুনাময়ীতে জমায়েত করে প্রচুর পুলিশ। প্রথমে মাইকিং করা হয়। আন্দোলনকারীদের জানানো হয়, তাঁরা যে স্থানে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন সেখানে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তাঁদের রাস্তা ফাঁকা করে দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়। পাশাপাশি আদালতের নির্দেশ পালন করা না হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। পালটা আন্দোলনের ঝাঁজ বাড়ায় চাকরিপ্রার্থীরা। ওঠে স্লোগান।
এদিন পুলিশি হুঁশিয়ারির সামনে দাঁড়িয়েও চাকরি প্রার্থীদের মুখে একটাই কথা, “নিয়োগ পত্র পেলে তবেই শেষ হবে আন্দোলন।” বর্তমান যা পরিস্থিতি তাতে আদালতের নির্দেশ না মানলে কড়া পদক্ষেপ করতে পারে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হতে পারে আন্দোলনকারীদের। ছ্ত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জের সম্ভাবনাও রয়েছে। তবে তাতেও ভয়ে পিছিয়ে যাবেন না বলেই সাফ জানান আন্দোলনকারীদের। তাঁদের কথায়, “মার খাব জানি। সবটা জেনেই এখানে মরতে এসেছি। কিন্তু দাবি না পূরণ হলে সরব না। যদি জোর করে সরানো হয় তাহলে আরও বৃহত্তর আন্দোলন হবে।”