সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুপুরের পর সন্ধের সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) ফের অশান্তি। সন্দেশখালি থানার সামনে ধরনায় বসা বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar) তুলে দিল পুলিশ। অভিযোগ, তিনি ১৪৪ ধারা ভেঙেছেন। থানার সামনে ধরনা করতে দেওয়া যাবে না। বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলা সুকান্তকে সেখান থেকে টেনেহিঁচড়ে তুলে আটকের পর টোটোয় চড়িয়ে একেবারে সন্দেশখালির ঘাটে নিয়ে গিয়ে লঞ্চে তুলে দেওয়া হল। পুলিশের বোটে সুকান্তকে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে বোটে আলো না থাকার অভিযোগ তুলে সরব হন সুকান্ত। আরও অভিযোগ, বোটেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়, পরে মেমোয় সই করানো হয়েছে।
এদিন দুপুরে সন্দেশখালি যাওয়ার পথে ধামাখালিতে সুকান্তকে আটকেছিল পুলিশ।বলা হয়, বেশ কিছু জায়গায় এখনও ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে, তাই তিনি গেলে সেখানে সমস্যা হতে পারে। পরে অবশ্য পুলিশ বিজেপি (BJP) রাজ্য সভাপতিকে একা সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি দেয়। সেখানে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার সিংহ পাড়ায় বসিরহাট লোকসভার বিজেপির আহ্বায়ক বিকাশ সিংহ, যিনি বর্তমানে বসিরহাট (Basirhat) জেলে বন্দি, তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন।
[আরও পড়ুন: স্বামীর জোরাজুরিতে ইউটিউব দেখে বাড়িতেই প্রসব! মৃত্যু মা ও সদ্যোজাতের]
তার পর সেখান থেকে চলে যান সন্দেশখালি থানার পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলতে। কিন্তু সন্দেশখালি থানার মূল গেটেই তাঁকে আটকে দেওয়া হয়। সেখানে তিনি ধরনায় বসে পড়েন। জানান, শাহজাহান গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত ধরনা চালিয়ে যাবেন। কিন্তু প্রায় ঘণ্টাখানেক পর তাঁকে থানার সামনে থেকে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশের এই ‘অতিসক্রিয়তা’ নিয়ে ফের বিজেপি কর্মীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। এর পর সুকান্ত মজুমদারকে থানার সামনে থেকে তুলে দেওয়া হয়। লঞ্চে তুলে তাঁকে ধামাখালি পৌঁছে দেয় পুলিশ।
[আরও পড়ুন: আইপিএস আধিকারিককে খলিস্তানি বলার জের, শুভেন্দু ও অগ্নিমিত্রাকে সতর্ক করলেন নাড্ডা]
সেখানে পৌঁছে সুকান্ত মজুমদার অভিযোগ তোলেন যে তাঁকে বোটের মধ্য়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে ব্যক্তিগত বন্ডে ছাড়া হয়েছে। সুকান্তর আরও দাবি, ডিজি সারারাত সন্দেশখালিতে ছিলেন। তিনিও থাকতে চান। শাহজাহান গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত তিনি সন্দেশখালি ছেড়ে যাবেন না।