সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের নজির গড়লেন পোপ ফ্রান্সিস (Pope Francis)। খ্রিস্ট ধর্মের শুদ্ধিকরণের পথে হেঁটে কয়েক শতক ধরে চলে আসা প্রথা ভেঙে চার্চ পরিচালন সমিতির উচ্চপদে এক মহিলাকে সদস্যপদ দিলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: বাতিল ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত, ৩ বছর পর রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে ফিরছে আমেরিকা]
গত শনিবার ক্যাথলিক প্রথা ভেঙে সিনিয়র সাইনড হিসাবে একজন মহিলাকে নিয়োগ করলেন পোপ ফ্রান্সিস। প্রথাভাঙা কাজ তিনি আগেও করেছেন। এটাই প্রথম নয়। ফেব্রুয়ারির ৬ তারিখ থেকে ফরাসি নাথালি বেকার্টকে ওই পদে নিয়োগ করেছেন পোপ। এখানেই শেষ নয়। নাথালি ধর্ম সম্পর্কিত বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন। তাঁকে ভোটাধিকার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সাল থেকে গির্জায় একজন কনসালট্যান্ট পদে কাজ করতেন নাথালি। এবার তিনি বিশপদের সম্মেলনও পরিচালনার দায়িত্বে থাকতে পারবেন। পোপেরা এহেন সিদ্ধান্তের পর থেকে গির্জার বিভিন্ন পদে মহিলাদের নিয়োগের পথ সুগম হল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকেই বলছেন, গির্জার বিভিন্ন কাজে সাম্প্রতিক সময়ে মেয়েদের অংশগ্রহণ অনেকটাই বেড়েছে। এবার সিস্টার নাথালিকে ভোটের অধিকার দেওয়ায় সেই পথ প্রশস্ত হল। গির্জায় যাজকের পরই সাইনডের স্থান। যাঁদের ভোটাধিকারও থাকে। আপাতত নাথালি ২০২২ সাল পর্যন্ত এই পদে দায়িত্ব সামলাবেন।
এর আগে সমকামিতা নিয়েও মুক্তমনের প্রমাণ দিয়েছিলেন পোপ ফ্রান্সিস। কয়েক বছর আগেই খ্রিস্ট সমাজের তীব্র আপত্তি থাকা সত্ত্বেও সমকামিতাকে মানুষের স্বাভাবিক অধিকার বলে স্বীকার করে নিয়েছিলেন পোপ। মুক্ত কণ্ঠে জানিয়েছিলেন, ধর্ম যা-ই বলুক, সমকামিতা অন্যায় বা পাপ- কোনওটাই নয়! শুধু তাই নয়, আরও একধাপ এগিয়ে তিনি বলেছিলেন, ”চার্চের সমকামীদের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত! এত দিন ধরে তাঁদের দূরে রেখে, তাঁদের জীবনযাপনকে সম্মান না দিয়ে চার্চ অত্যন্ত অন্যায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ধর্ম কখনওই পক্ষপাত দেখাতে পারে না। ধর্মের কাছে প্রত্যেকটি মানুষই সমান!” তবে, শুধুই সমকামী নয়! চার্চ যে সব প্রান্তিক মানুষকেও এত দিন পর্যন্ত সম্মান দেয়নি, তাদের কাছেও ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে জানিয়েছেন পোপ।