জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: লোকসভা ভোট মিটতে না মিটতেই দেশের ১৩টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন ঘোষণা করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তার মধ্যে রয়েছে রাজ্যের চারটি বিধানসভা কেন্দ্র। তাঁর মধ্যে অন্যতম বাগদা বিধানসভা কেন্দ্র। উপনির্বাচন ঘোষণা হতেই এলাকায় প্রকাশ্যে গেরুয়া শিবিরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। স্থানীয় 'সুদখোর' বিজেপি নেতা হারাধন হালদার এবং বাগদার প্রাক্তন বিধায়ক দুলাল বরের বিরুদ্ধে পোস্টারে ছয়লাপ এলাকা। সেই পোস্টারগুলিতে দাবি করা হয়েছে, এই দুই নেতাকে যেন উপনির্বাচনে প্রার্থী করা না হয়।
বাগদা বিধানসভার (Bagdah Assembly constituency) আশারু, জিয়ালা মোড়, চোয়াটিয়া-সহ একাধিক জায়গায় দুই বিজেপি (BJP) নেতার নামের পোস্টারে ছেয়ে গিয়েছে। একটি পোস্টারে লেখা আছে, বাগদা বিধানসভায় 'সুদখোর' হারাধন হালদারকে আমার চাই না। অন্য পোস্টারে লেখা আছে, বাগদা বিধানসভায় তৃণমূলের 'দালাল' দুলাল বরকে আমরা চাই না। দুটি পোস্টারের তলায় লেখা, প্রচারে ভারতীয় জনতা পার্টি। এর পরেই বিধানসভা এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
[আরও পড়ুন: ফের সোনার দোকানে ডাকাতি, রানিগঞ্জের পর এবার ডোমজুড়]
এনিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল (TMC)। বাগদা পশ্চিম ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি অঘোর চন্দ্র হালদার বলেন, "গতকাল নির্বাচন কমিশনের তরফে বাগদার উপনির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছে। এর পরেই এই পোস্টার। জানতে পেরেছি এই বিধানসভায় বিজেপির টিকিটের জন্য ১৭-১৮ দাবিদার রয়েছেন। তার ফলেই এই পোস্টার। এটা ওদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল।" যদিও গেরুয়া শিবিরের দাবি, এই পোস্টার ফেলেছে তৃণমূল। দলের মধ্যে কোনও দ্বন্দ্ব নেই বলেই দাবি তাঁদের। দল যাঁকে প্রার্থী করবে তাঁকেই সর্মথন করা হবে জানিয়েছেন স্থানীয় নেতৃত্ব।
উল্লেখ্য, রাজ্যের চারটি বিধানসভায় উপনির্বাচন হবে আগামী ১০ জুলাই। একথা সোমবারই জানিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। রানাঘাট দক্ষিণ, রায়গঞ্জ, বাগদা, মানিকতলা এই বিধানসভায় উপনির্বাচন হবে। গত বিধানসভায় মানিকতলা বিধানসভা বাদে রানাঘাট দক্ষিণ, রায়গঞ্জ, বাগদা বিধানসভায় জয়ী হয় বিজেপি (BJP)। মুকুটমণি অধিকারী, কৃষ্ণ কল্যাণী, বিশ্বজিৎ দাস বিজেপির হয়ে জিতে চলে আসেন তৃণমূলে। এদের প্রত্যেকই লোকসভা ভোটে প্রার্থী করে ঘাসফুল শিবির। ফলে নিয়ম অনুযায়ী, পুরনো দলের বিধায়ক পদ ছাড়তে হয় তাঁদের। যার জেরেই এই উপনির্বাচন। সেই ঘোষণা হতে না হতেই এই পোস্টার। যা ঘিরে অস্বস্তি বিজেপির অন্দরে।