সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: দুয়ারে লোকসভা নির্বাচন( 2024 Lok Sabha Election)। রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের ঘর গোছাতে ব্যস্ত। প্রত্যেক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব ঘরে-বাইরে দলের স্থানীয় বিবাদ ভুলে নির্বাচনে নামার বার্তা দিচ্ছে। ইতিমধ্যেই বিজেপি (BJP) প্রথম দফার প্রার্থী ঘোষণা করেছে। তালিকায় রয়েছে বাংলার ২০টি আসন। তার মধ্যে রয়েছে রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্র (Ranaghat Lok Sabha)। এই লোকসভায় ফের বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন জগন্নাথ সরকার। যা নিয়ে আবারও প্রকাশ্যে বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল। রানাঘাট লোকসভার কেন্দ্রের অর্ন্তগত কালীনারায়ণপুর পঞ্চায়েত এলাকায় জগনাথ সরকারের বিরুদ্ধে পড়ল পোস্টার। তাতে লেখা ‘জগা হাঠাও’।
২০১৪ সালের নির্বাচনে তৃণমূলের থেকে এই লোকসভা আসন ছিনিয়ে নিয়ে সাংসদ হন জগন্নাথ। তিনি জিতলেও দলের ভিতরে তাঁকে নিয়ে বার বার বির্তক দেখা গিয়েছে। প্রার্থী পদ নিয়ে শুরু থেকেই ঝামেলা ছিল। সদ্য তৃণমূলে(TMC) যোগ দেওয়া রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারীর(Mukutmoni Adhikari) নাম ছিল। তবে বিভিন্ন জটিলতায় তিনি প্রার্থী হতে না পারায় সাংসদ হন জগন্নাথ। সেই থেকে একটা কোন্দল শুরু হয়। এবার দ্বিতীয়বার টিকিট পাওয়ার পর ফের প্রকাশ্যে গোষ্ঠী কোন্দল। ভারতীয় জনতা পার্টি নদিয়া দক্ষিণ নামে পোস্টার পড়েছে কালীনারায়ণপুর অঞ্চলে। সেই সাদা পোস্টারে লেখা ‘দুর্নীতিগ্রস্ত চরিত্রহীন জগা হঠাও নদিয়া বাঁচাও’। রাতের অন্ধকারে কে বা কারা এই পোস্টার ফেলেছে তা নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে। তবে রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে জগন্নাথকে প্রার্থী হিসেবে বিজেপির শীর্য নেতৃত্ব নাম ঘোষণা করার পরে এই পোস্টার ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর।
[আরও পড়ুন: নিশীথ গড়ে হাওয়া বদল? কার দখলে যাবে ‘কোচ’দের ‘বিহার’ ক্ষেত্র?]
লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি প্রার্থী নিয়ে দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে আসতেই অস্বস্তিতে রানাঘাট দক্ষিণের বিজেপি নেতৃত্বরা। এই ঘটনায় বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার(Jagannath Sarkar) জানাচ্ছেন, তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি সরে গেছে তাই এরকম ঘৃণ্য জঘন্য কাজ করেছে। এর সঙ্গে বিজেপি কোনও ভাবেই যুক্ত নয়। তবে যারা রাতের অন্ধকারে এই পোস্টার মেরেছে তারা যে বিজেপি নয় তা অনুমান করাই যায়।
[আরও পড়ুন: হিমঘরে অ্যামোনিয়া গ্যাস লিক, জলপাইগুড়িতে মৃত ১, অসুস্থ আরও ৩]
যদিও তৃণমূল এই কাজের সঙ্গে যুক্ত নয় এমনটাই জানাচ্ছেন তৃণমূল নেতৃত্বরা। জগন্নাথ সরকারকে নদিয়ার মানুষের সঙ্গে বিজেপির কর্মীরাই মেনে নিতে পারছে না বলে দাবি তৃণমূলের।