নব্যেন্দু হাজরা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে মন্ত্রী বেচারাম মান্নার হস্তক্ষেপে মিলল সমাধান সূত্র। আলু ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট প্রত্যাহার। বুধবার রাত থেকে হিমঘর থেকে শুরু হবে আলু সরবরাহ। তার ফলে বৃহস্পতিবার থেকে বাজারে আলুর জোগানের ঘাটতি স্বাভাবিক হবে বলেই আশা। কমতে পারে আলুর দামও।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বাজারে জোগান বাড়িয়ে আলুর দাম কমাতে গিয়ে কোনও রকম লিখিত নির্দেশ ছাড়াই আলুবোঝাই ট্রাক রাজ্যের বিভিন্ন সীমান্তে আটকে রাখা হচ্ছে। আর তারই প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি ও পশ্চিমবঙ্গ হিমঘর অ্যাসোসিয়েশন অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করে। ব্যবসায়ী সমিতির ডাকা কর্মবিরতির জেরে মঙ্গলবার থেকে খুচরো বাজারে আলুর দাম বাড়তে শুরু করে। আলুর জোগানেও টান পড়তে শুরু করে। মাথায় হাত পড়ে মধ্যবিত্ত গৃহস্থের।
[আরও পড়ুন: ‘জো হামারা সাথ, হম উনকে সাথ’, শুভেন্দুকে হাতিয়ার করেই সংসদে ঝাঁঝাল ভাষণ অভিষেকের]
মঙ্গলবার বিধানসভায় মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে আলুর দাম নিয়েও আলোচনা হয়। গোটা পরিস্থিতি মোকাবিলায় পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার এবং কৃষি বিপণণমন্ত্রী বেচারাম মান্নাকে উদ্যোগী হতে বলেন। সূত্রর খবর, বৈঠকে মমতা জানিয়ে দেন কড়া হাতে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা হবে। কোনও ক্রাইসিস যেন না হয়। আর যতদিন না আলুর দাম কমবে, ততদিন ভিনরাজ্যে আলু রপ্তানি করা যাবে না। এর পর বুধবার হুগলিতে বেচারাম মান্না বৈঠকে বসেন। তাঁর হস্তক্ষেপে উঠল প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট। তার ফলে বুধবার রাত থেকেই হিমঘর থেকে আলু সরবরাহ শুরু হবে। আলু ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট প্রত্যাহারে বৃহস্পতিবার থেকে জোগানের ঘাটতি স্বাভাবিক হবে বলেই আশা। কমবে আলুর দাম।