সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্মবিরতির দু’দিন পার। বাজারে চড়ছে আলুর দাম। যা কিনতে পকেট হালকা মধ্যবিত্তের। বুধবার অধিকাংশ বাজারেই জ্যোতি আলুর দাম দাঁড়িয়ে ৪২ টাকা প্রতি কেজি। চন্দ্রমুখী তো হাই সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে। কোথাও কোথাও দাম হয়তো ৩৮-৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে আলু। এই পরিস্থিতিতে আজ বুধবার রাজ্যের তরফে আলু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক ডাকা হয়েছে। আলোচনা ফলপ্রসূ হলে এই কর্মবিরতি প্রত্যাহার করতে পারেন বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে সাধারণ মানুষের সুবিধায় আজ থেকে ১০০টি সুফল বাংলার স্টল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। এর পাশাপাশি আলুচাষিদের থেকে স্বনির্ভর গোষ্ঠীদের দিয়ে আলুর বন্ড কেনানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বিধানসভায় মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে আলুর দাম নিয়েও আলোচনা হয়। গোটা পরিস্থিতি মোকাবিলায় পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার এবং কৃষি বিপণণমন্ত্রী বেচারাম মান্নাকে উদ্যোগী হতে বলেন। সূত্রর খবর, বৈঠকে মমতা জানিয়ে দেন কড়া হাতে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা হবে। কোনও ক্রাইসিস যেন না হয়। আর যতদিন না আলুর দাম কমবে, ততদিন ভিনরাজ্যে আলু রপ্তানি করা যাবে না। তৃণমূল সূত্রে খবর, এবিষয়ে একটি আলাদা সংগঠন তৈরির নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। বেচারাম জানিয়েছেন, "আমরা আলাদা একটা সংগঠন তৈরি করব আলু ব্যবসায়ীদের নিয়ে। ভবিষ্যতে যাতে কেউ একতরফাভাবে কর্মবিরতি ডেকে সাধারণ মানুষকে অসুবিধায় ফেলতে না পারেন, তাই এই সিদ্ধান্ত।" তিনি জানান, বর্তমানে ৪৯৩টা সুফল বাংলার স্টল রয়েছে। আরও ১০০টা বাড়ানো হবে। তার মধ্যে ২৫টা হবে কলকাতায়। তাছাড়া স্বনির্ভর গোষ্ঠীর দলকেও কাজে লাগাতে হবে।
[আরও পড়ুন: নেপালে ভেঙে পড়ল যাত্রীবাহী বিমান, মৃত অন্তত ১৯]
ব্যবসায়ী সমিতির ডাকা কর্মবিরতির জেরে মঙ্গলবার থেকে খুচরো বাজারে আলুর দাম বাড়তে শুরু করেছে। আলুর জোগানে পড়ছে টান। চন্দ্রমুখীর দেখা মিলছে না বহু বাজারে। দাম চড়ছে জ্যোতি আলুরও। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বাজারে জোগান বাড়িয়ে আলুর দাম কমাতে গিয়ে কোনও রকম লিখিত নির্দেশ ছাড়াই আলুবোঝাই ট্রাক রাজ্যের বিভিন্ন সীমান্তে আটকে রাখা হচ্ছে। আর তারই প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি ও পশ্চিমবঙ্গ হিমঘর অ্যাসোসিয়েশন অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেছে। প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক লালু মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা যে বাজারে আলু সরবরাহের কাজ করি, সেটা সোমবার থেকে বন্ধ আছে কর্মবিরতির কারণে। ফলে জোগান কমেছে খুচরো বাজারে। তবে রাজ্যের দুই মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার এবং বেচারাম মান্নার সঙ্গে বুধবার বৈঠক হওয়ার কথা। সেখানে সমস্যা মেটে কিনা দেখা যাক।’’