সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলগ্রহে (Mars) কি সত্যিই প্রাণ ছিল? এ প্রশ্ন আজকের নয়। সৌরজগতে পৃথিবীর (Earth) যথার্থ দোসর কে হতে পারে, সে প্রসঙ্গে বোধহয় সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে এই প্রতিবেশী গ্রহটিকে নিয়েই। কিন্তু আজও এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কেবল নানা সম্ভাবনা উঠে এসেছে গবেষণায়। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় শোনা যাচ্ছে তেমনই নতুন সম্ভাবনার কথা। গবেষকরা দাবি করেছেন, লাল রঙের এই গ্রহে যদি কখনও প্রাণের (Life) অস্তিত্ব থেকেও থাকে, তবে তা ছিল মাটির একেবারে গভীরে।
‘সায়েন্স অ্যাডভান্সেস’ নামের এক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাপত্রটি। গবেষকরা মঙ্গল থেকে পাওয়া নানা তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখেছেন। তাঁদের ধারণা, ভূগর্ভস্থ তাপের ফলে মোটা বরফের চাদর গলে যাওয়ায় মঙ্গলের ভূপৃষ্ঠ থেকে বহু মাইল নিচে হয়তো প্রাণের অস্তিত্ব একসময় ছিল। ৪১০ কোটি বছর থেকে ৩৭০ কোটি বছরের মধ্যে তেমনটা ঘটার মতো অনুকূল পরিস্থিতি ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখেছেন তাঁরা। তাঁদের মনে হয়েছে, সেই প্রাগৈতিহাসিক সময়ে ভূগর্ভস্থ তাপের ফলে বরফ গলার মতো পরিস্থিতি ছিল। ফলে মোটামুটি ৪০০ কোটি বছর আগে যদি জলের তরল অস্তিত্ব মঙ্গলে থেকেও থাকে, তবে তা ছিল মাটির অনেক গভীরে। সুতরাং জীবন থাকলেও, তা ছিল সেখানেই।
[আরও পড়ুন : বলসোনারোর আমলেই সবচেয়ে বেশি বৃক্ষ নিধন হয়েছে আমাজনে, বলছে পরিসংখ্যান]
প্রধান গবেষক অধ্যাপক লুজেন্দ্র ওঝা জানাচ্ছেন, কম্পিউটারের সাহায্যে কার্বন ডাই অক্সাইড কিংবা জলীয় বাষ্পের মতো গ্রিনহাউস গ্যাস যদি মঙ্গলের প্রাচীন আবহাওয়ায় প্রবেশ করিয়ে পরীক্ষা করে দেখা যায়, তাহলে সেখানে দীর্ঘস্থায়ী উষ্ণ ও সিক্ত মঙ্গলের মডেল প্রতিষ্ঠা করা অত্যন্ত কঠিন। তবে গবেষকদের দাবি, সেই প্রাগৈতিহাসিক আমলে মাটির গভীরে তেমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার অনুকূল পরিবেশ খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা। আর তা থেকেই তৈরি হয়েছে এই ধারণা।