সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোনও রাখঢাক না করে সরাসরি হিন্দুদের ঘরে ঘরে অস্ত্র রাখার নিদান দিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা ঠাকুর (Pragya Singh Thakur)। সেই মন্তব্যের জেরে এবার বিপাকে পড়তে অচ্ছে প্রজ্ঞাকে। তাঁর বিরুদ্ধে FIR দায়ের করেছে বিজেপি শাসিত কর্ণাটকেরই পুলিশ। আসলে প্রজ্ঞার ওই বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সার্বিকভাবে ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল বিজেপি (BJP)। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে বাধ্য হল কর্ণাটক পুলিশ।
ঠিক কী বলেছিলেন ভোপালের সাংসদ? গত রবিবার কর্ণাটকে হিন্দু জাগরণ মঞ্চের এক সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই তিনি বলেন, প্রত্যেকেরই আত্মরক্ষার অধিকার আছে। কেউ যদি জোর করে কারও ঘরে ঢুকে পড়ে, তবে অনুপ্রবেশকারীকে প্রতিহত করে জবাব দেওয়ার অধিকার নিশ্চিতই আছে সকলের। আর তাই হিন্দু সম্প্রদায়ের উচিত ঘরে যেন ধারালো অস্ত্র রাখা। নিদেনপক্ষে একটা সবজি কাটার ছুরি যেন থাকে। কেননা কখন কী পরিস্থিতি তৈরি হয় তার ঠিক নেই, এমনটাই মত নেত্রীর।
[আরও পড়ুন: কোভিড নেগেটিভ না হলে ঢোকা যাবে না ভারতে, ৬ দেশের যাত্রীদের জন্য নিয়ম আনছে কেন্দ্র]
এরপর সরাসরি সংখ্যালঘুদের আক্রমণ করে তিনি বলে দেন, “ওরা যদি ভালও বাসে, তার মধ্যেও জিহাদ থাকে। পক্ষান্তরে হিন্দুরা ভালবাসে ঈশ্বরকে। আর তাই পৃথিবী থেকে পাপীদের সরিয়ে না দিলে প্রকৃত ভালবাসার মর্ম বোঝা যাবে না।” এরপরই বিজেপি সাংসদ বলেন, লাভ জিহাদে যারা মদত দেয়, তাদেরও একইরকম ভাবে জবাব দিতে হবে। হিন্দুরা যেন তাঁদের ঘরের মেয়েকে রক্ষা করে।
[আরও পড়ুন: এবার ত্রিপুরাতেও বাম-কংগ্রেস জোট! প্রস্তাবে সায় সিপিএম পলিটব্যুরোর]
সাধ্বী প্রজ্ঞার বক্তব্যের ইঙ্গিত ছিল স্পষ্ট। আর তা নিয়েই চলছে বিতর্ক। কংগ্রেস নেতা কানহাইয়া কুমার (Kanhaiya Kumar) অভিযোগ করেন, সাধ্বী প্রজ্ঞা হিংসায় উসকানি দিচ্ছেন। তাঁর উদ্দেশ্য দাঙ্গা বাঁধানো। পরিকল্পিতভাবেই এই ধরনের উসকানিমূলক কথাবার্তা বলতে শোনা যাচ্ছে তাঁকে। তৃণমূলের সাকেত গোখলে অভিযোগ করেন, পুলিশ প্রজ্ঞার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে তাঁকে আড়াল করার চেষ্টা করছে। চারিদিকের চাপের মধ্যে কর্ণাটক পুলিশ (Karnataka Police) একপ্রকার বাধ্য হয়েই প্রজ্ঞার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে ভিনধর্মের অবমাননা এবং উসকানির অভিযোগ আনা হয়েছে।