সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর আড়াল থেকে নয়। এবার বিজেপি নেতাদের সঙ্গে যেন সম্মুখ সমরে চলে এলেন তৃণমূলের ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor)। সোমবারই তাঁর করা একটি টুইট বাংলার রাজনীতিতে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল। পালটা দিতে আসরে নামতে হয়েছিল কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেননদের মতো প্রথম সারির বিজেপি নেতাদের। মঙ্গলবার ফের হুঙ্কার ছাড়লেন পিকে। এবার বিজেপি (BJP) নেতাদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন, বাংলায় বিজেপি একশোর বেশি আসন পেলে তিনি যেমন কাজ ছাড়বেন বলে ঘোষণা করেছেন, তেমনই সাহস থাকলে বিজেপি নেতারাও ঘোষণা করুক, ২০০ আসন না পেলে তাঁরাও পদত্যাগ করবেন।
মঙ্গলবার সংবাদসংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তৃণমূলের ভোটকুশলী আরও একবার নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন। পিকে‘র সাফ কথা,”বিজেপি বাংলায় কোনওমতেই দুই অঙ্ক পেরতে পারবে না। ওঁরা একশোর কম আসন পাবে। আবারও বলছি, যদি সেটা না হয়, তাহলে আমি আমার কাজ ছেড়ে দেব।” এরপরই বিজেপি নেতাদের পালটা চ্যালেঞ্জ দেন পিকে। বলে দেন, “সাহস থাকলে আপনারাও জনসমক্ষে ঘোষণা করুন, ২০০ আসন না পেলে নিজেদের পদ থেকে ইস্তফা দেবেন।”
[আরও পড়ুন: ‘বিদায়ের জন্য আগাম শুভেচ্ছা রইল’, প্রশান্ত কিশোরের চ্যালেঞ্জের পালটা দিল বিজেপি]
আসলে, একুশের নির্বাচনে বাংলাকেই পাখির চোখ করেছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিকভাবে এরাজ্যের শাসকদলকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করে চলেছেন। শুরু হয়ে দল ভাঙানোর খেলাও। শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) মতো প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা নাম লিখিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে। খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) এসে ঘোষণা করে গিয়েছেন, বাংলায় গেরুয়া শিবির ২০০’র বেশি আসন পাবে। বিজেপির এই বাড়বাড়ন্ত সামাল দেওয়া তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কাছে যেমন বড় চ্যালেঞ্জ, তেমনি প্রশান কিশোরের কাছেও। ভোটকুশলী হিসেবে সম্ভবত এত কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি তাঁকে আগে হতে হয়নি। তাছাড়া, তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূলের অন্দরেও বহু ক্ষোভ-বিক্ষোভ আছে। তবে পিকে যে তৃণমূলের জয়ের ব্যপারে আত্মবিশ্বাসী, গত দু’দিনে একাধিকবার বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি।