সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ভোটকুশলী থেকে রাজনৈতিক দলের নেতা। সক্রিয় রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয়ে গেল প্রশান্ত কিশোরের। বিহারে পথচলা শুরু করল পিকের দল জন সুরাজের। বুধবার গান্ধী জয়ন্তীতে জনসমুদ্রে মিশে গিয়ে নতুন দল গঠনের কথা ঘোষণা করলেন পিকে।
জন সুরাজ গঠনের কাজটা পিকে শুরু করেছিলেন বছর দুই আগে। বিহারজুড়ে তিনি শুরু করেন 'জন সুরাজ' যাত্রা। বিহারের গ্রামে গ্রামে গিয়ে ছোট ছোট সভা, মিছিল করেন তিনি। দুবছরের চেষ্টায় জন সুরাজকে কার্যত মহীরুহে পরিণত করেছেন তিনি। পিকের দাবি, বিহারের প্রতিটি প্রান্তে তাঁর দলের সংগঠন তৈরি হয়েছে। বিহারে মূলত, দলিত, মুসলিম, মহিলার সঙ্গে সঙ্গে উচ্চবর্ণের ভোটারদের টার্গেট করছেন প্রশান্ত কিশোর।
এদিন সরকারিভাবে জন সুরাজের যাত্রা শুরুর ঘোষণা করে পিকের বক্তব্য, তাঁর দল আরএসএস এবং সংখ্যালঘুদের মিশ্রণ। অর্থাৎ তিনি বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন, গান্ধীর আদর্শ মেনেই ধর্মনিরপেক্ষতা বজায় রাখতে চান তিনি। প্রশান্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি নাকি বিজেপির মদতে বিহারের রাজনীতিতে পা রাখছেন, সেই অভিযোগ খণ্ডন করতে এদিন বিজেপিকেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন তিনি। তোপ দেগেছেন 'পরিবারতান্ত্রিক' দল আরজেডিকেও। তাঁর কথায়, "এতদিন বিহারের মানুষ বাধ্য হয়ে সাম্প্রদায়িক বিজেপি এবং পরিবারতান্ত্রিক আরজেডিকে ভোট দিয়ে এসেছে। এবার বিকল্প দরকার।"
বিহারের নির্বাচনে তাঁর দলের মূল এজেন্ডা যে মদে নিষেধাজ্ঞা তোলা, সেটা আরও একবার স্পষ্ট করলেন পিকে। তাঁর সাফ কথা, বিহারে ক্ষমতায় এলে তাঁর প্রথম কাজটিই হবে মদে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা। বিহারে মদ নিষিদ্ধ হওয়ায় সরকারের প্রতি বছর ২০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হয়। সেই টাকা এবার থেকে পুরোপুরি যাবে শিক্ষা খাতে।