অরিজিৎ গুপ্ত ও কৃশানু মজুমদার: বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় এলে রাজ্য চালাবেন দিলীপ ঘোষ। সম্প্রতি সৌমিত্র খাঁর এহেন মন্তব্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল এ বঙ্গে। বুধবার হাওড়া ময়দানে যোগদান মেলায় ফের বোমা ফাটালেন তিনি। জানিয়ে দিলেন, এবার বিজেপিতে নাম লেখাতে চলেছেন হাওড়ার তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় (Prasun Banerjee)।
এদিন বিজেপি সাংসদ বলেন, “একজন ক্রিকেটার আগেই চলে গিয়েছেন। এবার ফুটবলারও আর থাকবেন না। বিজেপিতে চলে আসবেন। বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়।” দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, অর্জুন সিংদের সামনেই তাঁর এই বক্তব্য রীতিমতো সাড়া ফেলে দেয় বঙ্গ রাজনীতিতে। লক্ষ্মীরতন শুক্লার পর কি তবে সত্যিই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চাইবেন অর্জুন সম্মানে ভূষিত কিংবদন্তি ফুটবলারও? যদিও সৌমিত্র খাঁয়ের এহেন দাবি একেবারেই ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সাফ কথা, হাওড়াবাসী তাঁকে ভালবেসে তিনবার জিতিয়েছেন। সেই সব সাধারণ মানুষের প্রতি তাঁর একটা দায়িত্ব রয়েছে।
[আরও পড়ুন: কমিটির নির্দেশ না থাকা সত্ত্বেও যত্রতত্র উঠছে পাঁচিল! পুলিশি হস্তক্ষেপে বিশ্বভারতীতে বন্ধ নির্মাণ]
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালকে তিনি বলেন, “আমি ১৯৯২ সাল থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে রয়েছি। উনি আমায় ভীষণ ভালবাসেন। আমিও অত্যন্ত সম্মান করি। সবাই চলে গেলেও শেষ লোক হিসেবে আমি ওঁর পাশে থাকব। তৃণমূলই আমায় রাজনীতিতে পরিচয় দিয়েছে। সেখানে অন্য একটা দলে লাফিয়ে চলে গেলে হাওড়ার লোকজনই বা কী ভাববে!” সৌমিত্র খাঁকে মিথ্যাবাদী বলেও কটাক্ষ করেন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, “এমন মিথ্যে কথা বলে কেউ? লজ্জা হচ্ছে আমার। অত্যন্ত দুঃখিত আমি। আমাকে নিয়ে মশকরা না করাই উচিত। প্রয়োজনে হাওড়ার জন্য জীবন দেব।”
এদিকে বুধবার হাওড়া ময়দানে বিজেপির যোগদান মেলা কর্মসূচিতে তৃণমূল নেতা শ্রীকান্ত ঘোষের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দীলিপ ঘোষ। শ্রীকান্ত ঘোষের সঙ্গে প্রায় শ’খানেক তৃণমূল কর্মী এদিন বিজেপিতে যোগদান করেন। একদিকে যখন রামকৃষ্ণপুর কো–অপারেটিভে দুর্নীতি নিয়ে বিজেপি নেতারা যোগদান মঞ্চে সরব হয়েছেন, তখন সেই ব্যাংকেরই আর্থিক তছরুপে অভিযুক্তের দলে যোগদান নিয়ে প্রশ্ন তোলে তৃণমূল। এই নিয়ে প্রশ্নের জবাবও দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “রামকৃষ্ণপুর কো–অপারেটিভে যাঁদের নামে অভিযোগ রয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হবে। দোষী প্রমাণিত হলে শাস্তি পাবেন।” যদিও এই প্রসঙ্গে শ্রীকান্ত ঘোষের দাবি, তিনি নির্দোষ।