সুকুমার সরকার, ঢাকা: আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকদিন। আগামী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে বহু চর্চিত জাতীয় নির্বাচন। জোর কদমে চলছে নির্বাচনী প্রচার। শুরু হয়েছে বিভিন্ন জেলায় ব্যালট পেপার পাঠানোর কাজ। এর মাঝেই আওয়ামি লিগের মিছিলে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। ঘটনায় জখম হয়েছেন শাসকদলের যুবলিগ নেতা-সহ ৩ জন। দেশের একাধিক জায়গায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে বিএনপি-জামাত শিবির বলে অভিযোগ।
জানা গিয়েছে, রবিবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার বাঘিল ইউনিয়নে এই কাণ্ড ঘটে। টাঙ্গাইল-৫ আসনে নৌকার মিছিলে প্রতিপক্ষের গুলিতে আওয়ামি লিগের যুবলিগ নেতা-সহ তিনজন জখম হন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন- বাঘিল ইউনিয়ন যুবলিগের সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান রোকন, কর্মী সিয়াম ও রোকন মিয়া। রাতে বাঘিল এলাকায় নৌকার পক্ষে সমর্থকরা মিছিল বের করলে প্রতিপক্ষের সমর্থকরা মিছিলে অতর্কিত গুলি চালায়।
জখমদের টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনায় ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থীর দুই সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদিকে দেশের উত্তর জনপদ জেলা নওগাঁ-৫ (সদর) আসনে আওয়ামি লিগ মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার নিজামউদ্দিন জলিল জনের পাঁচটি নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান ছেকার আহমেদ শিষাণের সমর্থকদের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতেই শহরের গোস্তহাটির মোড়, সদর উপজেলার তিলকপুর ইউনিয়নের ত্রিমোহনী বাজার মোড়, বক্তারপুর ইউনিয়নের হালঘোষপাড়া এবং চকতারতাও মুক্তারপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ডেঙ্গুর করাল থাবা, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ৪ জনের, হাসপাতালে ভর্তি আরও ২০৭]
এদিকে, ভোটের দুসপ্তাহ বাকি থাকতেই দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের ব্যালট পেপার ঢাকা থেকে জেলা পর্যায়ে পাঠানো শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। ভোট উপলক্ষে সোমবার ঢাকার তিনটি প্রেস থেকে প্রথম ধাপে ১৩টি জেলার ৫২টি আসনের জন্য ব্যালট পেপার, পোস্টাল ব্যালট পেপার, পোস্টাল ব্যালট পেপারের সঙ্গে সম্পর্কিত ফর্ম এবং স্ট্যাম্প প্যাড পাঠানো হয়েছে। ঢাকা থেকে ব্যালট পেপার জেলায় পাঠানোর এই কাজ চলবে ডিসেম্বরের শেষ পর্যন্ত। তার পর ভোটকেন্দ্রে পাঠানো হবে ৭ জানুয়ারি ভোটের দিন সকালে।
উল্লেখ্য, বিএনপি-জামাত ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো আগামী সপ্তাহ থেকে ফের টানা এক সপ্তাহের বন্ধ-অবরোধের কর্মসূচির ডাক দিয়েছে। ১ থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ভোট বর্জনের কর্মসূচি চলবে। গত মাস দেড়েক ধরে চলছে বিএনপির ‘আগুন সন্ত্রাস’। ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর ডাকা বন্ধ-অবরোধে ২৮ অক্টোবর থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৮৯টি অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে ৪৫টি ট্রাকে, ২৩টি কাভার্ড ভ্যানে, ৮টি মোটরবাইকে ও অন্যান্য ২৯টি গাড়িতে।