shono
Advertisement
Draupadi Murmu

সংবিধানের উপর 'সবচেয়ে বড় আক্রমণ', এমারজেন্সির 'কালো অধ্যায়' নিয়ে সরব রাষ্ট্রপতি

Published By: Kishore GhoshPosted: 01:56 PM Jun 27, 2024Updated: 02:06 PM Jun 27, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃতীয় নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) মন্ত্রিসভার শপৎগ্রহণ ও অধিবেশন শুরুর মাঝে রেল দুর্ঘটনা, নিট-সহ একাধিক সর্বভারতীয় পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস সামনে আসায় অস্বস্তিতে এনডিএ শিবির। এই অবস্থায় সোমবার শপথ নিয়েই জরুরি অবস্থার ‘কালো দিনে’র কথা স্মরণ করিয়ে কংগ্রেসকে (Congress) চাপে ফেলার কৌশল নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। বৃহস্পতিবার সংসদের যৌথ অধিবেশনের ভাষণে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও (Droupadi murmu) ইন্দিরা আমলের 'এমারজেন্সি'র তীব্র সমালোচনা করলেন। যার পর বিরোধী শিবিরের কটাক্ষ, সরকারের স্পিকারে পরিণত হয়েছেন রাষ্ট্রপতি।

Advertisement

লোকসভা ভোটের আগে 'আগলি বার চারশো পারে'র ধুয়ো তোলেন মোদি। যদিও ভোটের ফল বেরোতে দেখা যায় চারশো বহু দূর, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতাও পায়নি বিজেপি। শেষ পর্যন্ত চন্দ্রবাবু নাইডু এবং নীতীশ কুমারের কাঁধে ভর দিয়ে সরকার গড়েন মোদি। যদিও ভোটের আগে একাধিক বিজেপি নেতা হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, চারশোর বেশি আসন পেলেই সংবিধান বদলে ফেলা হবে। এদিন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বলেন, ১৯৭৫ সালে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর আমলের এমারজেন্সি লাগু ছিল সংবিধানের উপরে 'সবচেয়ে বড় আক্রমণ', দেশের ইতিহাসে 'কালো অধ্যায়'।

 

[আরও পড়ুন: NEET প্রশ্নফাঁস দুর্নীতি মানলেন রাষ্ট্রপতি, দলমত নির্বিশেষে ব্যবস্থা নেওয়ার বার্তা]

১৮তম লোকসভায় নিজের ভাষণে রাষ্ট্রপতি বলেন, জরুরি অবস্থার সময় গণতন্ত্রকে যেভাবে "কলঙ্কিত" করার প্রচেষ্টা হয়েছে, তার নিন্দা করা উচিত সকলের। দ্রৌপদী আরও বলেন, "জরুরি অবস্থা ছিল সংবিধানের উপর সরাসরি সবচেয়ে বড় আক্রমণ এবং অন্ধকার এক অধ্যায়। জরুরি অবস্থার সময় গোটা দেশ বিশৃঙ্খলায় নিমজ্জিত হয়েছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত দেশ অসাংবিধানিক ক্ষমতা প্রদর্শনের বিরুদ্ধে বিজয়ী হয়েছিল।" এখানেই না থেমে তিনি আরও বলেন, "গণতন্ত্রকে কলঙ্কিত করার প্রতিটি প্রচেষ্টার নিন্দা করা উচিত সকলের। বিভাজনকারী শক্তি দেশের ভেতরে এবং বাইরে থেকে গণতন্ত্রকে দুর্বল করে সমাজে ফাটল সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে।"

১৯৭৫ সালের জুন থেকে ১৯৭৭ এর মার্চ পর্যন্ত প্রায় দুই বছর জরুরি অবস্থা ছিল দেশে। ইন্দিরা গান্ধী জারি করেন জরুরি অবস্থা। সংবিধানের ৩৫২ অনুচ্ছেদের অধীনে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ফখরুদ্দিন আলি আহমেদ এই বিষয়ে সম্মত হন। দেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ঝুঁকি রয়েছে এই যুক্তিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছিল।

 

[আরও পড়ুন: অলস ভারত! প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের অর্ধেকই ‘আনফিট’, প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট]

প্রসঙ্গত, সোমবার সংসদে প্রবেশের আগে সাংবাদিকদের সামনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে জরুরি অবস্থা নিয়ে কংগ্রেসকে তোপ দাগেন মোদি। তিনি বলেন, ”সংসদকে যাঁরা সম্মান করেন, তাঁরা দিনটি ভুলতে পারবেন না। ২৫ জুন সংবিধানের যে কালো দাগ লেগেছিল, তার ৫০ বছর পূরণ হবে আগামিকাল।” প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “আমরা গৌরবের সঙ্গে সংবিধানকে রক্ষা করতে পেরেছি। দেশবাসী সংকল্প নেবে যে ভবিষ্যতে কেউ আর এই কালো দিন আনার সাহস দেখাতে পারবে না। আমরা জনগণের স্বপ্ন পূরণে সংকল্পবদ্ধ।” পালটা কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, “৫০ বছর পুরনো এমারজেন্সি নিয়ে কথা বলছেন আপনি (মোদি), ভুলে গেলেন গত ১০ বছর ধরে যে অঘোষিত এমারজেন্সি চলছে!”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • লোকসভা ভোটের আগে 'আগলি বার চারশো পারে'র ধুয়ো তোলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
  • ১৯৭৫ সালের জুন থেকে ১৯৭৭ এর মার্চ পর্যন্ত প্রায় দুই বছর জরুরি অবস্থা ছিল দেশে।
Advertisement